মমতা নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন! ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বিতর্কে বিস্ফোরক অপর্ণা সেন
একটা সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবৃত্তে থাকা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অপর্ণা সেন। সেই তিনিই জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন।
একটা সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবৃত্তে থাকা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অপর্ণা সেন। সেই তিনিই জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন। অপর্না সেন বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছেন। বিজেপি-র উত্থানের জন্য তিনিই দায়ী। 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'ওভার রি-অ্যাক্ট' করেছেন বলে মনে করছেন তিনিও।
বাংলার এহেন রাজনীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ অপর্ণা সেন বলেন, আমি এটা একেবারেই পছন্দ করি না। আমার মনে হয় ধর্ম ধর্মের জায়গায় থাকুক, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। কিন্তু দুটো এক করে ফেলছে বাংলার শাসক ও বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলই। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
তাঁর কথায়, যদি কেউ ভাবেন জয় শ্রীরাম বলবেন, আল্লা হু আকবর বলবেন বা জয় মা কালী বলবেন, তাহলে তিনি বলতেই পারেন। কিন্তু তা নিয়ে ধর্মের বিষ ছড়ানো ও রাজনীতিকে বিষাক্ত করে তোলা সমীচীন নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেটাই হচ্ছে আমাদের এই রাজ্যে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শও দেন অপর্না সেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকালই আবেগপ্রবণ। কোনও কাজ করার আগে তিনি ভাবেন না। কিন্তু বেশিদিন যদি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান তবে তাঁর কথা বলার ধরন পরিবর্তন করা উচিত। অমিত মিত্র, সৌগত রায়দের মতো মানুষদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তিনি মনে করেন, আসন্ন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। এ রাজ্যের নাগরিক সমাজ বিজেপি ঘেঁষা হয়ে গিয়েছে। সেটাই সবথেকে বড় উদ্বেগের কারণ। কেননা বিজেপির প্রাথমিক ভিত্তিই হন জাতীয়তাবাদের সঙ্গে হিন্দুত্বের মিশ্রণ।