মমতা-মুকুলদের পিছনে ফেলে নিউজ মেকার ২০১৭ বালুরঘাটের অনুপম, বাকিরা কত ভোট পেলেন
নিউজ মেকার ২০১৭-র তালিকা তৈরির সময় ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার পক্ষ থেকে যে বিষয়গুলির উপরে নজর রাখা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল শিরোনামে থাকা ব্যক্তির স্বতন্ত্রতা, গ্রহণযোগ্যতা।
২১ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে নিউজ মেকার-২০১৭-র সেরা সম্মান পেলেন বালুরঘাটের অনুপম তরফদার। বালুরঘাটের ফেসবুককাণ্ডে শিরোনামে আসেন এই রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্ককর্মী। পুলিশের দাদাগিরির বিরুদ্ধে আম-জনতা হিসাবে আওয়াজ তুলেছিলেন অনুপম। তাঁর পরিণাম হয়েছিল ভয়ঙ্কর। থানায় ডেকে ধমকানো থেকে শুরু করে সারা জীবনের মতো জেলবন্দি করার মতোও হুমকি পেতে হয়েছিল। কিন্তু, লড়াই থামাননি অনুপম।
একজন সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে নাছোড় লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। জেলেও ঢুকেছেন। পিছিয়ে আসেননি। ব্যক্তির স্বতন্ত্র অধিকার নিয়ে কথা বলা মানে যে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ বা মেজাজের আস্ফালন নয় তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের এই প্রাক্তনী। ভদ্র এবং মার্জিত ভাষার আক্রমণে পুলিশ-প্রশাসনকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন একজন শিক্ষিত মানুষ ইচ্ছা করলে কতটা শক্তি ধরেন। আম জনতা মানেই যে অসহায়- এমনটা নয়। চাই শুধু লড়াই করার ইচ্ছে। আর এই মন্ত্রে আজ দেশজুড়ে সাধারণ মানুষদের মনে এক নয়া শক্তি যুগিয়েছেন অনুপম। আর অনুপমের এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার পাঠকরা। যাদের দেওয়া ভোটে নিউজ মেকার ২০১৭-র সেরার সেরা হয়েছেন অনুপম। সবমিলিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৩ শতাংশ ভোট।
অনুপমের পিছনে যাঁরা থাকলেন
অনুপম
ছাড়াও
আরও
১১
জন
ছিলেন
নিউজ
মেকার
২০১৭-র
তালিকায়।
এই
১১
জন
হলেন-
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়,
ঝুলন
গোস্বামী,
দেবজিৎ
রায়,
মুকুল
রায়,
দিলীপ
ঘোষ,
শাশ্বত
চট্টোপাধ্যায়,
সায়নী
দাস,
দেব,
আবির
চট্টোপাধ্যায়,
কৌশিক
গঙ্গোপাধ্যায়,
জয়া
এহসান।
এদের
মধ্যে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
১২
শতাংশ
ভোট
পেয়ে
দ্বিতীয়
স্থানে
আছেন।
ঝুলন
গোস্বামী
৯
শতাংশ
ভোট
পেয়ে
রয়েছেন
তৃতীয়
স্থানে।
দেবজিৎ
রায়
৯
শতাংশ
ভোট
পেয়ে
চতুর্থ
স্থানে
আছেন।
এরপর
যথাক্রমে
আছেন
মুকুল
রায়,
দিলীপ
ঘোষ,
শাশ্বত
চট্টোপাধ্যায়,
সায়নী
দাস,
দেব,
আবির
চট্টোপাধ্যায়,
কৌশিক
গঙ্গোপাধ্যায়,
জয়া
এহসান।
বাংলা
রাজনীতিতে
২০১৭
সালটা
পুরোটাই
ছেয়ে
থাকলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা
রাজনীতির
এখন
সবচেয়ে
বড়
মুখ
যেন
তিনি
তা
প্রমাণও
করে
দিয়েছেন।
দেশীয়
রাজনীতির
আঙিনায়
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
যে
একটা
ফ্যাক্টর
তা
সমস্ত
রাজনৈতিক
দল
এখনও
মানে।
রাজনৈতিকভাবে
তাঁর
মোদী
বিরোধিতা
প্রশংসা
কুড়িয়ে
বিজেপি
বিরোধী
শক্তিগুলির
মধ্যে।
এহেন
মমতার
হাত
ধরে
বিশ্বসেরা
সম্মান
পেয়েছে
'কন্যাশ্রী'।
খোদ
রাষ্ট্রপুঞ্জ
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
স্বপ্নের
প্রকল্প
'কন্যাশ্রী'-কে
সম্মানিত
করেছে।
ঝুলন গোস্বামী
বাঙালি যে ক্রিকেট ময়দানেও এখন বিশ্বসেরাদের আসনে বসতে পারে তা গত কয়েক বছর ধরে দেখিয়ে আসছেন ঝুলন গোস্বামী। বলতে গেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাঙালির উজ্জ্বল প্রতিনিধি ঝুলন। ক্রিকেট কেরিয়ারে আন্তর্জাতিক আঙিনায় একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন চাকদহের মেয়ে। কিন্তু, এই সব রেকর্ডের থেকেও বড় হয়ে উঠেছে ২০১৭ মহিলাদের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে লডস-এর ময়দানে তাঁর আগুন ঝরানো বোলিং। যা লডস-এর ব্যালকনিতে সৌরভের খালি গায়ে জার্সি ওড়ানোর থেকে কোনও অংশে কম কিছু নয়।
দেবজিৎ রায়
বালুরঘাট ফেসবুককাণ্ডে আরও এক প্রতিবাদী যিনি অনুপমের সঙ্গে জেলে গিয়েছিলেন। এমনকী সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে সঙ্গে করে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছা আত্মহুতিও করতে চলেছিলেন দেবজিৎ। আম আদমি হয়েও লড়াই-এ পিছু হঠেননি। একাধিক ভয়ঙ্কর সব ধারায় তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের করেছিল খোদ পুলিশ। দমে যাননি দেবজিৎ। আজ জনতার অধিকার নিয়ে অনুপমের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। এখনও কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা লড়ছেন তিনি।
মুকুল রায়
বাংলার রাজনীতির আরও এক পরিচিত নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন এই ডানহাতকে চাণক্যও বলা হয়। যেভাবে মসৃণ সব সমীকরণে রাজনীতিতে দল-বদলের খেলা তিনি খেলেন তা অবাক করে দেওয়ার মতো। এহেন মুকুল রায় যখন নিজেই দল বদল করে বিজেপি-তে এসে নাম লেখান তখন তা যে রাজ্য-রাজনীতির অন্যতম চাঞ্চল্য ফেলে দেওয়া খবর হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর সেই দল বদলের পরই যদি তাঁর এককালের নেত্রীকেই চ্যালেঞ্জ করে বসেন তাহলে তো সে লড়াই বাংলার রাজনীতি মনস্কদের নজর টানবেই।
দিলীপ ঘোষ
রাজ্যে আদৌ কোনও বিরোধী নেতা আছেন কি? ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর একথা ভুলতে বসেছিল বাংলা। কিন্তু, গত বিধানসভা নির্বাচন-এর পর থেকে কিছুটা হলেও ছবিটার বদল ঘটিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দল বিজেপি খাতায়-কলমে কোনওভাবেই বিরোধী দলের তকমা পায়নি। কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তৃণমূলকে প্রতিপদে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে বিজেপি যে তৈরি তা ঠারে-ঠারে বুঝিয়েছেন দিলীপ। আর এই অবস্থানের দৌলতেই তিনি নিজেকে জনমানসে বিরোধী দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছেন।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
কলকাতার বুকে বসে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেও বলিউডে কল্কে পাওয়া যায়। আর এই কথাটা প্রমাণ করে দেওয়া শুধু নয়, এতে এক্কেবারে সিলমোহর বসিয়ে নিয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সুজয় ঘোষ-এর 'কাহিনি' ছবিতে সিরিয়াল কিলারের ছোট্ট এক চরিত্রে অভিনয়ের ধারটা বুঝিয়েছিলেন শাশ্বত। এবার অনুরাগ বসুর 'জগ্গা-জাসুস'-এ তামাম ভারতকে দেখালেন তিনি বলিউডের হার্টথ্রব রণবীর কাপুরের সঙ্গেও অভিনয়ে সমানে পাল্লা দিতে পারেন। অভিনয়ের এমন কিছু শেড তৈরি করে দিতে পারেন যাতে 'জগ্গা জাসুস'-এ রণবীর-এর অভিনয় বৃত্তটা 'টুটি-ফুটি'-কে ছাড়া কোনওভাবেই সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে না। আর এই 'টুটি-ফুটি' হলেন শাশ্বত।
সায়নী দাস
বাঙালি আজও ইচ্ছে করলে সাঁতার কাটতে পারে। সেটা যেন আরও একবার বোঝালেন সায়নী। বর্ধমানের কালনার এই কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাঁতারই ধ্যান-জ্ঞান। সায়নীর মতোই এর আগে বেশকিছু বাঙালি ইংলিশ চ্যানেল পার হয়েছেন। কিন্তু, এর জন্য সায়নী-র কৃতিত্বকে কোনওভাবেই খাটো করা যায় না। কারণ, সায়নী যখন ইংলিশ চ্যানেলে সাঁতার কাটতে শুরু করেছিলেন তখন প্রকৃতি প্রবলভাবে অশান্ত হয়ে উঠেছিল। শুরু হয়েছিল ঝড়-ঝঞ্জা। ঠিকমতো সামনে দেখতেই পাচ্ছিলেন না সায়নী। এরসঙ্গে ছিল জেলি-ফিসের আক্রমণ। এতটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাঁতার কাটতে কাটতে প্রাণ সংশয়ও হতে পারত। সায়নীকে বলা হয়েছিল জল থেকে উঠে আসতে। কিন্তু, লড়াকু সায়নী লড়াই ছাড়েননি। কালনার মতো আটপৌর এক গ্রামের মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে হয়েও অদম্য মানসিকতায় পেরিয়ে গিয়েছিলেন ইংলিশ চ্যানেল। এখন জিব্রাল্টার পার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সায়নী।
দেব
শুধু অভিনয় নয় দেব এবার দেখিয়েছেন এক নতুন সম্ভাবনার আলো। আর সেই আলোর মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতে কমার্শিয়াল বাংলা ছবির দিশা। নায়ক-নায়িকা আর গুন্ডা পেটানো নয়-অ্যাকশনধর্মী এই ছবির বাইরে বেরিয়েও যে অন্য ধাঁচের কমার্শিয়াল ছবি করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন দেব। নিজের পছন্দের ছবি বানাতে এবার একটি প্রোডাকশন হাউস খুলেছেন। এই প্রোডাকশন হাউসের যে দুটি ছবি ২০১৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল তার মধ্যে একটির নাম 'চ্যাম্প' এবং অপরটি 'ককপিট'। তবে, কাহিনি বৈচিত্র্য, ভিশুয়াল এফেক্টসের প্রয়োগে 'ককপিট' এক নতুন আশার আলো জ্বেলেছে। সেই সঙ্গে দেব বুঝিয়েছেন বাংলার ছবির কমার্শিয়াল চিরাচরিত ফর্মূলাটাকে তিনি ভেঙে ফেলতে বদ্ধ পরিকর।
আবির চট্টোপাধ্যায়
বাংলা ছবির এক অন্যধারার মুখ হয়ে উঠেছেন আবির। যেখানে কাহিনি আছে, চরিত্রের দাপট আছে। বিষয় বৈচিত্র্যের ওঠা-পড়া রয়েছে-সেখানে আবির চট্টোপাধ্যায়ই অটোমেটিক চয়েস। নাচের উদ্দামতা নয় বা অ্যাকশন হিরোর সুপারম্যান হয়ে ওঠার মতো বিষয় নয়। মার্জিত-রুচিশীল অভিনয়ে আবির-ই যে এখন এক নম্বর তা ২০১৭ সালে প্রমাণ করে দিয়েছে 'বিসর্জন' ও ' ছায়া ও ছবি'। অনস্ক্রীন ম্যানারিজম আর ঝকঝকে আকর্ষণীয় চেহারায় বঙ্গললনাদের হার্টথ্রবও হয়ে উঠেছেন আবির।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলায় একের পর এক ভিন্ন স্বাদের ছবি তৈরি করে চলেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিভা এবং কাহিনি বলার বিষয় ভাবনা অথবা পরতে পরতে কাহিনির একটা একটা করে পাপড়ি মেলে ধরা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু, ২০১৭ সালে কৌশিক যা দেখালেন তাতে বিস্মিত হতে হয়। 'বিসর্জন' এবং 'ছায়া ও ছবি'-তে যেভাবে কাহিনি-কে ভাঙলেন এবং গড়লেন তা মুগ্ধ করে। বহুদিন বাদে এক নিখুঁত আবরণে বাংলা ছবি-কে দেখার সৌভাগ্য যেন পেল বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা। ঝাঁ-চকচকে এডিটিং-এর ঝলকানি বা বিশালাকার সব সেট বা লোকেশনের বাহুল্য ছাড়াও যে সিনেমা তৈরি করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন কৌশিক। শুধুমাত্র কাহিনি, চরিত্র আর পরিচালনায় নিখুঁত তুলির টানটা ঠিক থাকলেই যে মানুষ বাংলা ছবি দেখতে হলমুখো হবেন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
জয়া এহসান
জিম করা স্লিম-ট্রিম ফিগার তাঁর নয়, বা মেদহীন মুখায়বে মেকআপ আর লিপস্টিকের আড়ম্বরও নেই-স্রেফ একটা ফর্সা ঢলঢলে মুখ, টানা চোখ আর এক উদাস করা দৃষ্টিতে মুখের নিটোল টোল-যেন সার্থক বাঙালি রমণী। যাঁর রমণীয়তা চোখে মুগ্ধতার ছিটে লাগায়। এমন রূপ বাংলা ছবির দর্শক কতদিন দেখেনি? হিসাব করতে বসলে মাথার চুল ছেঁড়ার জোগার হবে। কিন্তু, সন্দেহ নেই বাংলা ছবিতে এই হাহাকারটা আপাতত মিটিয়ে দিয়েছেন জয়া এহসান। পদ্মাপারের মেয়ে তিনি। চোখে-মুখে, চরিত্রের কথনে যেন বাংলার নদ-নদীর টলটলে জলের প্রভাব। চেহারা জুড়ে গ্রাম বাংলার সবুজ প্রকৃতির স্নিগ্ধতা। যে রূপে আশা জাগে, যাতে হাত ধরে সখারা বলতে পারে 'চলো হারিয়ে যাই'। এহেন জয়া এহসান এখন এপার বাংলা ছবির অন্যতম সেরা সম্ভাবনার নাম। 'বিসর্জন' ছবিতে তাঁর ঋগ্ধ অভিনয়ে মুগ্ধ আপামার বাংলা ছবির দর্শককুল।
নিউজ মেকার ২০১৭-র তালিকা তৈরির সময় ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার পক্ষ থেকে যে বিষয়গুলির উপরে নজর রাখা হয়েছিল তার মধ্যে ছিল শিরোনামে থাকা ব্যক্তির স্বতন্ত্রতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং তাঁর থেকে তৈরি হওয়া নিউজ পয়েন্টে সমাজের অবস্থান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ বা আম জনতা হিসাবে খবরের শিরোনামে উঠে আসা অনুপম তরফদার, দেবজিৎ রায়রা। আবার ঝুলন থেকে শুরু করে সায়নী দাস, আবির, দেব, কৌশিক, শাশ্বত, জয়া এহসানরা- এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের স্বকীয়তায় ২০১৭ সালে বাঙালি জনমানসকে ঋগ্ধ করেছেন। আর তাই ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার নিউজ মেকার ২০১৭-তে এমন সব ব্যক্তিত্ব ছাড়া আর কারাই বা নির্বাচিত হতে পারতেন। তাই এঁই ব্যক্তিত্বদের কে কত ভোট পেলেন বা কে কার থেকে এগিয়ে থাকলেন সেটা বড় নয়। বরং এমনকিছু বাঙালি যে ভাবে নিজস্বতা দিয়ে বাংলাভাষী মানুষদের মন জুড়ে বছর কাটালেন তাতে তাঁদের স্যালুট ঠোকা উচিত।