রাহুলদা মানসিক সমস্যায় রয়েছেন, বিজেপিতে পদ পেয়ে কটাক্ষ মুকুল-ঘনিষ্ঠ অনুপমের
রাহুলদা মানসিক সমস্যায় রয়েছেন, বিজেপিতে পদ পেয়ে কটাক্ষ মুকুল-ঘনিষ্ঠ অনুপমের
মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ অনুপম হাজরা পদ পেয়েছেন রাহুল সিনহার মতো হেভিওয়েটকে সরিয়ে। তারপরই রাহুল সিনহা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এটা আমার দলকে ৪০ বছর সেবা করার পুরস্কার। এরপরই তাঁর প্রতিক্রিয়ায় অনুপম হাজরা জানালেন, রাহুলদা মানসিক সমস্যায় রয়েছে। তাই ওই কথা বলেছেন।
কলকাতায় বসে চা খেতে খেতে সমস্যা মেটাবেন অনুপম
অনুপম বলেন, রাজনীতিতে এই উত্থান-পতন হয়েই থাকে। কেউ ওঠে, কেউ পড়ে। এটা কোনও সমস্যাই নয়। আমরা কলকাতায় বসে চা খেতে খেতে এসব মিটিয়ে ফেলব। সদ্য রাহুল সিনহাকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতা বেশ খোশ মেজাজেই প্রতিক্রিয়া দিলেন। পোড় খাওয়া রাজনীতিকের মতোই দিলেন জবাব।
রাহুলের আক্ষেপ পদ হারিয়ে, পরবর্তী পদক্ষেপ ১০-১২ দিনেই
রাজ্য সভাপতির পদ হারিয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদক হয়েছিলেন রাহুল সিনহা। দীর্ঘদিন ওই পদে থাকার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। বিকল্প কোনও পদ না দিয়েই তাঁর এই অপসারণ তিনি মানতে পারছেন না। বিজেপির হয়ে ৪০ বছর রাজনীতি করার পর তাঁর পদস্খলন নিয়ে তিনি মুখ খোলেন। এবং জানিয়ে দেন ১০-১২ দি্নের মধ্যেই তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।
রাহুলকে সরিয়ে বাংলায় বেশ জাঁকিয়ে বসলেন মুকুল রায়!
এদিকে রাহুলকে সরিয়ে মুকুল রায় বাংলায় বেশ জাঁকিয়ে বসলেন। দিলীপ ঘোষের আধিপত্যেও তিনি ভাগ বসিয়ে দিলেন। রাহুল বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়েছিলেন। রাহুলকে ছাপিয়ে দিলীপ বনাম মুকুল যুদ্ধই ছিল বিজেপির অন্দরে। সম্প্রতি তথাগত রায়ের হয়ে সমর্থন জানিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে মাথা তুলতে চেয়েছিলেন রাহুল।
বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বের চরম সীমায় পৌঁছলেন মুকুল
মুকুল রায় সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হয়ে এবং তাঁর অনুগামী অনুপম হাজরাকে রাহুল সিনহার জায়গায় বসিয়ে নিজেকে বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বের চরম সীমায় নিয়ে গেলেন। এবার দিলীপ ঘোষকেও সমীহ করে চলতে হবে না। কারণ তিনি পদাধিকার বলে দিলীপ ঘোষের উপরে থাকবেন। যে কোনও সিদ্ধান্ত তিনি জানাতে পারবেন পদাধিকার বলে।
একুশের নির্বাচনের আগে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মুকুল
রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষের আধিপত্যে মুকুল রায় ভাগ বসিয়ে আগেই নিজের ঘনিষ্ঠ নেতাদের রাজ্য বিজেপির বিভিন্ন পদে বসিয়ে দিয়েছেন। এখন নিজেকে কেন্দ্রীয় বিজেপিতে বড় জায়গায় বসালেন। তারপর নিজের ঘনিষ্ঠ আরও এক নেতাকে বসাতে আদি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে পরযন্ত সরিয়ে দিলেন। ফলে দিলীপ ঘোষকেও আর ক্যাপ্টেন মানতে হবে না মুকুলকে। এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মুকুল।
মুকুল গুরুত্বের পদ পেতেই গর্জে উঠলেন শুভ্রাংশু, কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন 'বদলা’র বার্তা