
দল বদলালে তবেই জামিন অনুব্রত মণ্ডলের! ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে উত্তাপ বাড়ল আদালতেও
আসানসোলের সিবিআই আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন। ৩৭ দিন পর তাঁকে আদালতে পেশ করা হলেও বহু আকাঙ্খিত জামিনের দেখা মিলল না। বিচারক দজামিন খারিজ করে দিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। তিনি প্রশ্ন তুলে দেন, জামিন খারিজের যুক্তি নিয়ে।

অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাৎপর্যপূর্ণ যুক্তি
বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। অসহযোগিতা ও প্রভাবশালী তত্ত্বে শনিবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাৎপর্যপূর্ণ যুক্তি খাঁড়া করেন। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পরিকল্পনা করেই আটকে রাখা হচ্ছে।

কবে জামিন পাবেন অনুব্রত, যা বললেন আইনজীবী
অনুব্রত মণ্ডলের জামিন এদিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল তখনই জামিন পাবেন, যখন তিনি দলবদল করবেন। আসানসোলের সিবিআই আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বলেন, দলবদল না করলে মিলবে না জামিন। ঘুরিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তকে খোঁচা দেন তিনি।

একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে নিশানা, জামিন খারিজ
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির আগে থেকেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে এসেছে। এবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ করে জেল হেফাজত প্রসঙ্গে ফের উঠে এল সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। বিজেপির ষড়যন্ত্রেই জামিন মিলছে না বলে প্রকারান্তরে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে নিশানা করে তদন্ত চলছে। সেই ধারা মেনেই জামিন মিলছে না অনুব্রত মণ্ডলের। অনুব্রত মণ্ডল দলবদল করলেই তাঁর জামিন মিলে যাবে।

কেন জামিন মিলছে না? প্রশ্ন অনুব্রতর আইনজীবীর
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁর দেহরক্ষীর মোবাইল থেকে এনামুলের মোবাইলে ফোন গিয়েছিল। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল থেকে কোনও ফোন হয়নি। এমন ভয়েস স্যাম্পেলও নেই। কোনও গরু পাচারের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগও প্রমাণ হয়নি। তারপরও কেন জামিন মিলছে না?

কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তদন্ত শেষ করা হচ্ছে না!
এখানেই শেষ নয়, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, কেন ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দেওয়া হল। সবকিছুই হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। এই জামিন আটকানো হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। দীর্ঘদিন তিনি সিবিআই হেফাজতে চিলেন। তারপর জেলেও কেটেছে দীর্ঘদিন। সেখানেও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি ছিল। তারপরও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তদন্ত শেষ করা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।

একাধিক শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও জামিন খারিজ
আইনজীবীদের দাবি, একাধিক শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও জামিন মঞ্জুর করা হচ্ছে না। তিনি ৭৯ দিন চিকিৎসা পরিষেবা তেমনভাবে পাননি বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, শনিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডলকে। জামিন মিলল না অনুব্রতের। ঠাঁই হল সেই আসানসোলের জেলে।