চতুর্থ দফা ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের 'পেপ টক', মোদীদের নিশানায় রেখে কর্মীদের দিচ্ছেন বড়সড় পাঠ
বাংলার নির্বাচনে তাঁর 'গুড় বাতাসা' থেকে 'চড়াম চড়াম' ঢাক বাজানো কিম্বা 'নকুলদানা'র নিদানের শব্দবন্ধনী বহুবার লাইমলাইট কেড়েছে। এবার বাকি দফার ভোটের আগে কর্মীদের উদ্দেশে নয়া পাঠ দিচ্ছেন অনুব্রত। এক বেসরকারী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে , অনুব্রত মণ্ডল সেবিষয়ে মুখ খোলেন। এদিকে, বর্ধমানে রোড শো থেকেও কর্মীদের অনুপ্রাণিত করে টার্গেটে রাখেন মোদীদের।
'আমিও নরেন.. নরেন বলি'
অনুব্রত মণ্ডল গতকালই পারদ চড়িয়েছেন বর্ধমানের রোড শোতে। সেখানে তিনি সাফ জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এমন সুরে উদ্ধৃত করা ঠিক হচ্ছে না। আর মোদীর 'দিদি.. ও দিদি' র বদলা হিসাবে অনুব্রত বলছেন, 'আমিও নরেন.. ও নরেন..বলি'। এভাবেই তিনি উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রীকে।
মুখ্যমন্ত্রীর সভার আগে পিচ দেখলেন কেষ্ট!
প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল ভোট বর্ধমান দক্ষিণে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভা রয়েছে তিনটি। শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই এলাকায় সভা করবেন । আর তার আগে কার্যত এলাকার পিচ দেখে গেলেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিল তাঁর হাইভোল্টেজ রোড শো। এদিনও রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়া থেকে তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদীদের একহাত নেন অনুব্রত মণ্ডল।
'খেলা'র পাঠ
অনুব্রত মণ্ডল এখন যেমন ব্যস্ত প্রচারে, তেমনই তিনি নজরে রাখছেন কর্মিসভাগুলিকে। সেখানে গিয়ে অনুব্রত আপাতত পেপ টক-এ কর্মীদের উজ্জিবীত করছেন। 'আনন্দবাজার ডিজিটাল' এর খবর অনুযায়ী, অনুব্রত নিজেই জানিয়েছেন যে কোন বল-এ চার হবে, কোন বল-এ ছয়, আবার কোন বল-এ ২ রান নিয়ে আউন হতে হবে না, সেটা বুঝে গেলেই তৃণমূল কর্মীদের কাছে এই রণাঙ্গনে লড়াই সহজ হবে।
জেলায় জেলায় অনুব্রতর প্রচার
এদিকে, বহু জেলায় ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছেন অনুব্রত মণ্ডল। রাঢ় বাংলার এই দাপুটে নেতার দাবি, এর আগে এতবার কোনও ভোটে ঘুরতে হয়নি। তবে তাঁর কাছ থেকে যাঁরা 'খেলার' ট্রেনিং পেয়েছেন, তাঁরা যদি সঠিকভাবে তা কার্যকর করেন, তাহলে তৃণমূলকে হারানোর সাধ্য কারোর নেই বলে জানান অনুব্রত মণ্ডল। এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে ওই সংবাদমাধ্যমে।