উন্নয়নের ডাকে বিজেপি নেতাকে দলে নিলেন অনুব্রত! তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দিলেন এফআইআরের নির্দেশ
নিজের জেলায় দুটি লোকসভা দখলে রাখতে পারলেও, বীরভূমে ভোট কমেছিল তৃণমূলের। লোকসভা ভোটের পর থেকে সেই ক্ষয় মেরামতিতে লেগে রয়েছেন অনুব্রক মণ্ডল।
নিজের জেলায় দুটি লোকসভা দখলে রাখতে পারলেও, বীরভূমে ভোট কমেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। লোকসভা ভোটের পর থেকে সেই ক্ষয় মেরামতিতে লেগে রয়েছেন অনুব্রক মণ্ডল। দলকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনে যেমন বিরোধী দলের নেতাকে নিজের দলে য়োগদান করাচ্ছে, অন্যদিকে নিজের দলের নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতেও দ্বিধা করছেন না।
বিজেপি নেতার যোগদান তৃণমূলে
অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে সাঁইথিয়ার কামদাকিঙ্কর স্টেডিয়ামে বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সাঁইথিয়া পুরসঙার একমাত্র বিজেপি কাউন্সিলর শান্তনু রায় বিজেপি যোগ দেন। যদিও তৃণমূলের যোগ দিয়েই ওই নেতা জানিয়েছেন, বিজেপিতে থেকে কোনও কাজ করতে পারছিলেন না। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
একসময় তৃণমূলেই ছিলেন শান্তনু রায়
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা সময়ে তৃণমূলেই ছিলেন শান্তনু রায়। দলীয় স্তরে ভুল বোঝাবুঝির জন্য তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এলাকার প্রয়োজন বুঝে অনুব্রত মণ্ডল তাঁকে দলে টেনে নিলেন। শান্তনু রায়ের যোগদানে এলাকায় বিজেপির শক্তি অনেকটাই কমল বলে মনে করেছেন স্থানীয়দের একাংশ।
মাওবাদী কারণ দেখাতে গিয়ে ধমক অনুব্রতের
মহম্মদবাজার এলাকায় গত নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে, চরিচা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বলেন, এলাকায় ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা তৃণমূলকে টার্গেট করছে। যদিও এই কারণের জেরে অনুব্রত মণ্ডল ব্যাপ্ক ক্ষুব্ধ হন বলে সূত্রের খবর। তিনি সেই সময় বলেন, মানুষের কাছে না গিয়ে মানুষের সমস্যা দেখতেই ভুলে গিয়েছে ওি অঞ্চলের নেতারা। ফলে কত ভোটে হেরেছে, তা তারা নিজেই জানে না।
নেতার বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কর্মী সম্নেলনে, অনুব্রত মণ্ডল সাঁইথিয়া বনগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ কবিরের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরের নির্দেশ দেন। আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপ-সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
মমতার বাংলায় অনুন্নয়নের ছবি! তৃণমূল সাংসদই উন্নয়নপ্রার্থী, চিঠি লিখলেন ফিরহাদকে