ঘরে-বাইরে কী অবস্থা? সিবিআই হেফাজতে থেকেই খোঁজ অনুব্রতর, কী কথা হল মেয়ের সঙ্গে
খুব জানতে ইচ্ছা করছিল তাঁকে নিয়ে কী কথা হচ্ছে বাইরে! দল কী অবস্থান নিয়েছে! তা জানতে সিবিআই হেফাজতে থেকেই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ফোন করলেন মেয়েকে।
খুব জানতে ইচ্ছা করছিল তাঁকে নিয়ে কী কথা হচ্ছে বাইরে! দল কী অবস্থান নিয়েছে! তা জানতে সিবিআই হেফাজতে থেকেই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ফোন করলেন মেয়েকে। সিবিআই অফিসারদের সামনেই তিনি ফোনে লাউডস্পিকার দিয়ে কথা বললেন মেয়ের সঙ্গে। শুক্রবার তিনি দুবার কথা বলেন বাড়িতে।
গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে। তারপর সিবিআই তাঁকে নিজাম প্যালেসে এনে জেরা করছে। এই জেরা চলাকালীনই ঘর ও বাইরের খবর নিতে উৎসুক হয়ে পড়েন তিনি। জানতে চান, তাঁর গ্রেফতারির পর বাইরের প্রতিক্রিয়া কী, ঘরের সব ঠিক আছে তো! তৃণমূল তাঁকে নিয়ে কী অবস্থান নিয়েছে?
এদিন বীরভূমের বাড়িতে তাঁর মেয়ের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি তিনি চিনার পার্কের বাড়ির কর্মচারীর সঙ্গেও কথা বলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এই কথোপকোথনে তিনি জানার চেষ্টা চালান তাঁকে নিয়ে কো কী বলছে। উল্লেখ্য, সিবিআই হেফাজতে নিজমা প্যালেসের ১৪ তলার গেস্ট হাউসে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য সিবিআই হেফাজতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে তেমন একটা বায়নাক্কা করেননি। বাড়ি থেকে আনা মুড়ি খেয়েছেন। ক্যান্টিনের কোনও খাবার তিনি খাননি। সূত্রের খবর, তিনি নিজাম প্যালেসে বসে মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান। মানবিক গ্রাউন্টে সিবিআই অফিসাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডলের। ফোনে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত।
মেয়ের সঙ্গে এদিন দু-বার কথা বলেন অনুব্রত। একবার কথা হয় তিন মিনিট। আর পরেরবার ২ মিনিট কথা হয়। সিবিআই অনুমতি দিলেও জানিয়ে দেয়, স্পিকার দিয়ে কথা বলতে হবে। বাবা-মেয়ের কথায় উঠে আসে বোলপুরের বাড়ির কী অবস্থা। মেয়ের কাছে অনুব্রত জানতে চায় সে কথা। এক সময় এই বাড়ি গমগম করত নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে। এখন মানুষ কী বলছে?
বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বাড়ি খাঁ-খাঁ করছে। আর মেয়ে সেই ফাঁকা বাড়িতে কেঁদে ভাসাচ্ছেন। বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় কেঁদে ফেলেন অনুব্রত-কন্যা। খাওয়া-দাওয়াও সেভাবে করেনি। সারাক্ষণ মনমরা হয়ে বসে আছে। আর মাঝেমধ্যেই কেঁদে উঠছেন। কিছুতেই বা মানাতে পারছেন না চোখের জল।
শুধু মেয়ে নয়, চিনার পার্কের বাড়ির এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। অনুব্রত কলকাতায় এলে তাঁর সর্বক্ষণের সঙ্গী তিনি। তাঁর কাছেই অনুব্রত জানতে চান, তাঁর গ্রেফতার পর রাজ্যবাসী কী বলছে, তৃণমূলই বা কী অবস্থান নিয়েছে? তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করেন অনুব্রত। এখন দেখার তৃণমূল তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেয় কি না, সেদিকে নজর সবার।