শুভেন্দুকে এখনই খারাপ কথা বলতে রাজি নন! তাঁকে নিয়ে কোন কৌশল, জানালেন অনুব্রত মণ্ডল
শুভেন্দুকে এখনই খারাপ কথা বলতে রাজি নন! তাঁকে নিয়ে কোন কৌশল, জানালেন অনুব্রত
শুভেন্দু অধিকারী (subhendu Adhikari) এখনও দল ছাড়েননি। তিনি বিজেপিতে যাওয়ার কথাও বলেননি। তাই তাঁকে নিয়ে এখনই খারাপ কথা বলতে রাজি নন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (trinamool congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (anubrata mondal)।
এখনও তৃণমূলেই রয়েছে শুভেন্দু
এদিন অনুব্রত মণ্ডল গিয়েছিলেন লাভপুরে বুথ ভিত্তিক কর্মিসভায় যোগ দিতে। সেখানে তিনি প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এখনও তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন। বিজেপিতে যায়নি কিংবা সেই দলে যোগ দেওয়ার কথাও বলেননি তিনি। ফলে তাঁকে নিয়ে কেন কথা বলবেন।
পতাকা ছাড়া সভা কৌশল হতে পারে
শুভেন্দু অধিকারী একের পর এক অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিচ্ছেন। সেই সভার আয়োজক তৃণমূলের নেতা হলেও, সেখানে কোনওটা পুজোর উদ্বোধন আবার কোনওটা বিজয় সম্মিলনী কিবা নেতার স্মরণ সভা। সেখানে থাকছে না তৃণমূলের কোনও পতাকা কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন ছবি। যা নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূলের একাংশ। তবে তাতে গা ভাসাতে রাজি নন দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত মমতার কাছের কেষ্ট। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিনিও দলের ব্যানার ছাড়া মিটিং করেন। এটা দলের কৌশল হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মিমকে নিশানা
বিহারের ভোটে একটা বড় অংশে মুসলিম ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মিম। তাদের সংগঠন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের আগামী নির্বাচনে বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ইতিমধ্যএই জানিয়েছে মিম। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, মিম সম্পর্কে সবাই জানে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির অভিযোগ বিহারে ৩৬ টি মুসলিম আসন নষ্ট করেছে মিম। তাঁর অভিযোগ, মিম যতই দাবি করুক তারা মুসলিমদের বন্ধু, তারা আসলে বিজেপির দালাল। তাই তাঁর অনুরোধ এই মিমকে রাজ্যে যেন কেউ বিশ্বাস না করেন।
বিহারের প্রভাব বাংলায় পড়বে না
বিহারে জয়ী হয়েছে এনডিএ। তবে সেই নির্বাচনের প্রভাব বাংলায় পড়বে না বলেই মনে করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছেন, রাজ্যে উন্নয়ন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বিজেপি সেখানে সুবিধা করতে পারবে না।
শুভেন্দুকে বার্তা দিয়েছিলেন কল্যাণ
তবে নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা দিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে তিনি বলেছিলেন, ইয়ে তৃণমূলমে রহো, নেহি তো বিজেপিকে সাথ চলা যাও। দোনো কে সাথ প্রেম মত কিজিয়ে ভাইয়া। শুভেন্দু অধিকারীর সভাকেই গুরুত্বে নারাজ তিনি। বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলন যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য হয়েছিল, ঠিক তেমনই নন্দীগ্রামের আন্দোলন উনি ছিলেন বলেই হয়েছিল।
বাংলায় প্রাসঙ্গিক হতে কী কর্তব্য বামেদের, উপায় বাতলে দিলেন বিহারের 'ক্যাপ্টেন’