সিদ্দিকুল্লা-অনুব্রত তরজা তুঙ্গে, মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব বীরভুম জেলা সভাপতির
'পুরুষ মানুষের মেজাজ থাকা দরকার'। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিলেন তৃণমুলের বীরভুম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল।

দিন দুয়েক আগে মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে নালিশ জানিয়ে আসেন যে তার বিধানসভা এলাকাতেই বেআইনি বালির কারবার চলছে। এছাড়া মঙ্গলকোটে পুলিশ বেছে বেছে অনেক তৃণমূলকর্মীকে মিথ্যাভাবে গাঁজা কেস দিচ্ছে। পাশাপাশি, তৃণমূলের এক কর্মসূচিতে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা দাবি করেন অনুব্রত মন্ডলের 'মেজাজের' কারণে ওনার সঙ্গে মানিয়ে চলতে অসুবিধা হচ্ছে।
এদিন কেতুগ্রাম-২ ব্লকের অন্তর্গত গঙ্গাটিকুরি গ্রামে একটি বি এড কলেজে তৃনমুলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই কর্মী সম্মেলনে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় সাংসদ অসিত মাল। কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সীতাহাটি, কেতুগ্রাম এবং নিরোল এই তিনটি অঞ্চলের মোট ৪৫টি বুথের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। অনুব্রত প্রতিটি বুথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন। মহিলা কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে সাংগঠনিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে এ প্রসঙ্গে দিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'ছোট থেকেই আমার মেজাজ ছিল, এখনও থাকবে। পুরুষ মানুষের যদি মেজাজ না থাকে তাহলে পুরুষ মানুষের কোনও দাম নেই। পুরুষ মানুষ হিসাবে মেজাজ থাকা দরকার বলে আমি মনে করি।'

পাশাপাশি দলের পুরনো কর্মীদের 'গাঁজা'র কেসে ফাঁসানোর যে অভিযোগ সিদ্দিকুল্লা করেছিলেন তা অস্বীকার করে অনুব্রত বলেন, 'ওসব মিথ্যা কথা।' আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মঙ্গলকোটে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ফের প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনুব্রত বলেন, 'কে প্রার্থী হবে না হবে সেটা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। আমরা ঠিক করার কে? সকলের মত আমিও একজন সাধারন কর্মী।'