২০২১-এ ভোটের ব্যবধান বাড়ানোর কৌশল নিরূপণ অনুব্রতর, দিলেন তিন টোটকা
২০২১-এ ভোটের ব্যবধান বাড়ানোর কৌশল নিরূপণ অনুব্রতর, দিলেন তিন টোটকা
জয়, জয় আর জয়। ২০২১-এ জয় ছাড়া আর কিছুই দেখছেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জয় সুনিশ্চিত করতে বুথে বুথে ভোট বাড়ানোর কৌশল বাতলে দিলেন। কর্মীদের দিলেন 'পেপ-টক'। তাঁর কথায়, জয়ের লক্ষ্য এখন থেকে স্থির করেই এগোতে হবে। আর তার জন্য বাড়াতে হবে ভোট।
কর্মীদের জন্য তিন টোটকা অনুব্রতর
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি একে একে সবার কাছে অভাব-অভিযোগ শোনেন। অনুব্রতর কাছে বুথকর্মীরা তাঁদের মনের কথা খুলে বলেন। মানুষের কোনও ক্ষোভ আছে কি না জেনে নিয়ে তিনি কর্মীদের জন্য তিনটি টোটকা দেন।
অনুব্রতর তিন টোটকা কী কী
অনুব্রত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ন-বছরে প্রভূত উন্নয়ন করেছেন। সেই উন্নয়নের পুঙ্খানুপুঙ্খ তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। যে কোনও সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। যাঁরা এখনও বিজেপি বা সিপিএমে রয়েছেন, তাঁদেরকে বুঝিয়ে দলে আনতে হবে। তাহলে ভোট বাড়বেই। আর আমাদের কেউ জয়ের লক্ষ্য থেকে হটাতে পারবে না।
কেন লোকসভা ভোটে লিড পাইনি
এদিন বুথ ধরে ধরে পর্যালোচনায় অনুব্রত বলেন, কেন আমরা লোকসভা ভোটে লিড পাইনি বুথ থেকে। এই পরাজয়ের কারণ খতি্য়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে। কেন বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন মানুষ, তার স্থায়ী সমাধান করে সেই মানুষকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মানুষ কেন জব কার্ড পাচ্ছেন না, সরকারি আবাস যোজনা পাচ্ছেন না, তা জানতে ফোন করেন বিডিওকে। এই বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেন বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে।
কেন আদিবাসীরা মুখ ফেরাচ্ছেন!
অনুব্রত জানতে চান, কেন আদিবাসী মানুষেরা তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আদিবাসী মন ফিরে পেতে কী করা উচিত, তাও বাতলে দেন অনুব্রত। অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিকে তিনি দায়িত্ব দেন আদিবাসী মানুষদের তৃণমূলমুখী করতে। তিনি বলেন, মানুষকে বোঝাতে হবে। একবার না হলে বারবার বোঝাতে হবে।
জয় সুনিশ্চিত করতে জনসংযোগ
এদিনের কর্মিসভায় বিরোধী দল ছেড়ে অনেকে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের দলে স্বাগত জানান অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, আরও জনসংযোগ দরকার। মানুষের বাড়িতে যেতে হবে, তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তবেই মানুষ আসবেন তৃণমূলের দিকে। ভোটের আগেই জয় সুনিশ্চিত করতে আরও মানুষকে আনতে হবে তৃণমূলে।
জঙ্গলমহল কমছে মাওবাদীদের করাল থাবা! ঝাড়গ্রামে উন্নয়নেই রাজ্যসরকারের খরচ ২০০০ কোটিরও বেশি