তৃণমূলের তালিকা থেকে বাদ অনুব্রত মণ্ডল! ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জল্পনা তুঙ্গে
তৃণমূলের তালিকা থেকে বাদ অনুব্রত! ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জল্পনা তুঙ্গে
২০২১ বিধানসভা ভোটেই পাখির চোখ তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই লক্ষ্যেই ব্যাপক রদবদল হয়েছে তৃণমূলে। তারপর মুখপাত্রের তালিকাতেও এসেছে নতুন মুখ। এবার জেলাতেও নতুন মুখপাত্র নিয়োগ করা হল। তৃণমূল নেতাদের মুখের কথায় লাগাম টানতেই এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই তালিকা থেকে বাদ পড়লেন অনুব্রত মণ্ডল।
জেলাস্তরেও মুখপাত্র নিয়োগ, চমক তৃণমূলের
তৃণমূলে সাম্প্রতিক রদবদলে বড় জায়গা পেয়েছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, ছত্রধর মাহাতোর মতো বিতর্কিত নেতারা। তারপর ছ-বছর বহিষ্কৃত থাকার পর রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে তৃণমূল ঠাঁই দিয়েছে বঙ্গের মুখপাত্রের তালিকায়। এবার জেলাস্তরেও মুখপাত্র নিয়োগ করে চমকে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
২৩ সাংগঠনিক জেলায় ৩৬ জন মুখপাত্র
জেলায় আর যে কোনও তৃণমূল নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পারবেন না। নির্দিষ্ট কয়েকজনই এই মর্মে বিবৃতি দিতে পারবেন। জেলা স্তরেও সকলের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ২৩ সাংগঠনিক জেলার জন্য ৩৬ জন মুখপাত্র বেছে নেওয়া হল তৃণমূলের।
৩৬ জনের তালিকায় নেই অনুব্রত মণ্ডল
তৃণমূল যে ৩৬ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে, তার মধ্যে নেই অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের জেলা সভাপতির নাম না থাকা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বীরভূম জেলা নিয়ে এতকাল যাবতীয় কথা বলতেন একমাত্র অনুব্রত মণ্ডল। সাংগঠনিক কাজের সঙ্গেও যাবতীয় বাক্যবাণের নিশানা তিনিই করতেন। কিন্তু এবার সেই তিনি নেই তালিকায়।
অনুব্রতর ডায়লগ কি আর শোনা যাবে না!
অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য নিয়ে বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বরাবর বিরোধীদের আক্রমণের জবাব দিয়েছেন ঝাঁঝালো মন্তব্যে। পুলিশকে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন, পাচনের দাওয়াই দিয়েছেন, গুড়বাতাসা-জল খাওয়ার নিদান দিয়েছেন, এবার সেইসব ডায়লগ কি আর শোনা যাবে না নির্বাচনের আগে। মুখপাত্র না হলেও তিনি সভাপতি, বলার অধিকার কিন্তু তাঁরও আছে।
কথায় কথায় বিতর্ক তৈরিতেই কি অনুব্রত বাদ!
অনুব্রতর জায়গায় বীরভূমের মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জামশেদ আলি খানকে। এবার থেকে বিরোধীদের যাবতীয় আক্রমণের জবাব দেবেন তিনি, অনুব্রত নন। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত, তা-ই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কথায় কথায় বিতর্ক তৈরি করার কারণেই অনুব্রত আপাতত বাদ পড়েছেন তালিকায়।
উত্তরবঙ্গে তৃণমূলে মুখপাত্র যাঁরা
দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন এনবি খাওয়াস, সমতলে বেদব্রত দত্ত, কালিম্পংয়ে ভীম আগরওয়াল ও শিখা রায়, জলপাইগুড়িতে দুলাল দেবনাথ, আলিপুরদুয়ারে সৌরভ চক্রবর্তী, কোচবিহারে শিবপদ পাল ও নরেন্দ্রচন্দ্র দত্ত, উত্তর দিনাজপুরে সন্দীপ বিশ্বাস, দক্ষিণ দিনাজপুরে জয়ন্ত দাস এবং মালদহে শুভময় বসু, সৌমালা আগরওয়াল।
দক্ষিণবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলে মুখপাত্র যাঁরা
মুর্শিদাবাদের মুখপাত্র হয়েছেন গৌতম ঘোষ ও অপূর্ব সরকার, নদিয়ায় বাণী রায় ও দেবেশ রায়, পশ্চিম বর্ধমানে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অশোক রুদ্র, পূর্ব বর্ধমানে প্রসেনজিৎ দাস, বীরভূমে জামশেদ আলি খান, বাঁকুড়ায় দিলীপ আগরওয়াল, ঝাড়গ্রামে ঊমা সোরেন, পুরুলিয়ায় নবেন্দু মাহালি, পশ্চিম মেদিনীপুরে শান্তনু ভুঁইয়া ও দেবাশিস চৌধুরী এবং পূর্ব মেদিনীপুরে মধুরিমা মণ্ডল।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মুখপাত্র
হাওড়ায় মুখপাত্র হয়েছেন সুকান্ত পাল ও বৈশাখী ডালমিয়া, হুগলিতে স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও প্রবীর ঘোষাল, উত্তর ২৪ পরগনায় রথীন ঘোষ ও সুনীল মুখোপাধ্যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জীবন মুখোপাধ্যায়, তরুণ রায় ও বঙ্কিম হাজরা। কলকাতায় রয়েছেন রাজ্যস্তরের নেতারা।
রাম মন্দিরে ভূমি পুজোর পর এবার 'কীর্তি স্তম্ভ'-র দাবি! সন্ন্যাসীদের একাংশ কোন বার্তায় সরব
{quiz_271}