লকডাউন নিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বিতর্কিত ঘোষণা অনুব্রতর! বাংলার রাজনীতিতে শোরগোল শুরু
রাঢ়বাংলার বেতাজ বাদশা তিনি । বহুবার বহু প্রেক্ষাপটে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আর করোনা, লকডাউনের আবহেও সেই বিতর্কের ছায়া তাঁর পিছু ছাড়ল না। নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল।
লকডাউন ও অনুব্রত
'শুক্র ও শনিবার লকডাউন হবে না' , বীরভূমের স্থানীয় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বসে একথা জানিয়ে দিলেন এলাকার তাবড় নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনা নিয়ে স্থানীয় স্তর থেকে বাংলার রাজনৈতিক মহলে তুমুল শোরগোল পড়েছে। বিতর্ক ঘিরে বিরোধীরা ক্রমেই চেপে ধরছে ঘাসফুল নেতৃত্বকে।
অনুব্রত কী বলেছেন?
'শুক্র ও শনিবার ইদ আছে। তাই দুটি দিন বাজার সারাদির খোলা থাকবে। ২ রা অগাস্ট থেকে বেলা ৩ টে থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত লকডাউন হবে। যতদিন বীরভূমের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হচ্ছে, ততদিন এই নিয়ম চলবে।' না! এবার্তা কোনও প্রশাসক আইপিএস বা আইএএস কর্তার নয়। বরং তৃণমূলের স্থানীয় পার্টি অফিসে বসে এমন বার্তা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একজন রাজনৈতিক দলের নেতা প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে কীভাবে এমন ঘোষণা করেন? এমন প্রশ্ন বাংলার রাজনীতিতে উঠতে শুরু করেছে।
প্রশাসন জানেই না!
অনুব্রতর এমন আচরণে অস্বস্তিতে বীরভূম প্রশাসন। বিরোধীদের দাবি, এভাবেই প্রশাসন ও পুলিশ ক্রমেই ঘসফুলের দলদাসে পরিণত হচ্ছে। বকলমে বীরভূমের ক্ষমতা কার হাতে রয়েছে তা অনুব্রতর বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে বলে বিরোধীরা সুর তুলেছে। এদিকে, প্রশাসনের বহু কর্তারাই অনুব্রতর এমন বক্তব্য রেখেছেন বলে জানেন না ।
বিজেপির তোপ
এদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বীরভূমে যে প্রশাসন অনুব্রত মণ্ডলই চালাচ্ছেন তা এই লকডাউনের ঘোষণা থেকেই তিনি স্পষ্ট করে দিলেন।
প্রশাসনের বার্তা
এদিকে, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, লকডাউন নিয়ে কোনও পরবর্তী সিদ্ধান্ত হয়নি। ইদ ও রাখি কাটলে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বীরভূমে লকডাউনের ঘোষণা প্রশাসন আগে করে দিয়েছিল। তারওপর অনুব্রতর বার্তা বিতর্ককে আরও উস্কানি দিয়েছে।