দলের কর্মী, প্রধান, কাউন্সিলরের তরফে তিনিই ক্ষমাপ্রার্থী! মমতার নাম টেনে কারণ জানালেন অনুব্রত মণ্ডল
এই ভোট পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভার নয়, এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাত জোড় করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, যদি কেউ ভুল করে থাকে, তাহলে দলের পক্ষ থেকে হাত জোড় করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। দলের প্রাথমিক শ
এই ভোট পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভার নয়, এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাত জোড় করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, যদি কেউ ভুল করে থাকে, তাহলে দলের পক্ষ থেকে হাত জোড় করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী কি এবার বিজেপির পথ ধরলেন, পদক্ষেপে জল্পনা তুঙ্গে
কটূ কথা বললে ক্ষমা প্রার্থনা
ইদানিং অনুব্রত মণ্ডলের মুখে ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ বারবার আসছে। তা ব্যতিক্রম হয়নি পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বীরভূম জেলার অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানেও তিনি বলেন, যদি কোনও কটূ কথা বলে থাকেন, তাহলে ক্ষমা করে দেবেন।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করে বলেছেন, কয়েকজন শিক্ষক ফেসবুকে এমন সব বিষয় ছাড়েন, সে সম্পর্কে, তাঁর প্রশ্ন কী অন্যায় করেছে তৃণমূল। তিনি প্রশ্ন করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষকদের কাছে কোনও অন্যায় করেছেন? কী ক্ষতি করেছেন তাঁরা?
৩৪ বছরে বামফ্রন্ট পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করেছে
অনুব্রত মণ্ডল তাঁর ভাষণে বলেন, ৩৪ বছর ধরে বামফ্রন্ট গোটা পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করে দিয়েছে। তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বলছেন। শিক্ষক সংগঠন করবেন তৃণমূলের আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুৎসা করবেন, প্রশ্ন করেন অনুব্রত। তিনি বলেন দয়া করে এই সংগঠন থেকে বেরিয়ে যান।
অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, কুৎসা নয়
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, অন্যায় থাকলে প্রতিবাদ করুন, কুৎসা নয়। তাঁর মতো শীর্ষ নেতাকে জানানোর অনুরোধও করেছেন অনুব্রত। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা না হয় ক্ষমা চেয়ে নেবেন। যদি কোনও কর্মী, প্রধান, কাউন্সিলর কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে থাকে, সেক্ষেত্রে তিনিই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তিনিই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। এই ভোট পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভার নয়, এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাত জোড় করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, যদি কেউ ভুল করে থাকে, তাহলে দলের পক্ষ থেকে হাত জোড় করে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন।