'বেইমান' মুকুল অচিরেই ঝরে যাবে, তৃণমূলের অনুব্রত ছুড়লেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ
মঙ্গলবার বীরভূমে সভা করে মুকুল রায়কে পাল্টা দিলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এদিন মুকুল রায়কে বেইমান বলে কটাক্ষ করলেন।
মুকুল রায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই মঙ্গলবার বীরভূমে সভা থেকে মুকুল রায়কে পাল্টা দিলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এদিন মুকুল রায়কে বেইমান বলে কটাক্ষ করলেন। অনুব্রত বলেন, 'এ মুকুল বেইমানের মুকুল। এ মুকুলকে মানুষ চায় না। এ মুকুল ঝরে যাবে।'
[আরও পড়ুন:ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে, পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে ফের বদলার হুমকি বিজেপি নেতার ]
মুকুল রায় অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জ করে জানান, 'ওঁর জন্য একজন কাউন্সিলরই যথেষ্ট। অতএব অনুব্রতকে নিয়ে ভাবার কিছু নেই।' তারপরই তিনি বলেন, 'আজ অনুব্রতকে নিয়ে বিশেষ কিছু বলব না। পরের মিটিংয়ে ঝুলি থেকে অনুব্রত মণ্ডলের কেলেঙ্কারি বের করব। এমন তথ্য ফাঁস করব যে, তার জেরে হয় অনুব্রত দল ছাড়বেন, নতুবা দল তাঁকে তাড়িয়ে দেবে।''
মুকুলের সেই আক্রমণেরই জবাব দিলেন বীরভূমের সাঁইথিয়ার পাল্টা সভা থেকে। অনুব্রত এদিন বলেন, 'আমরা বদলার রাজনীতি করি না। আমরা মানুষ মারি না। আমরা মানুষের উন্নয়নের জন্য সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করি, সারা বছর ধরে মানুষের পাশে থেকে রাজনীতিটা করি। শুধু ভোটের রাজনীতি তৃণমূল করে না।'
এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আমরা কখনও মিথ্যা কথা বলি না, ঠগবাজও নই। কুৎসা-অপপ্রচারের রাজনীতি আমরা করি না। তোমরা বাজে কথার রাজনীতি কর। তোমরা হিন্দুত্বের রাজনীতি কর। আমি তোমার কাছে হিন্দুত্ব শিখব না। আমরা মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করি, মানুষকে আদর করি, মানুষকে মারি না।'
মুকুল রায়ের দল পরিবর্তন নিয়েও এদিন খোঁচা দেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, 'গিরগিটি যেমন মুহূর্তে মুহূর্তে রং বদলায়, তুমিও তার মতো দল চেঞ্জ কর। আর সেই তুমিই আমাকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছ। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি। আমি কাপুরুষ নই। আমি ময়দান ছেড়েও পালাব না।'
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বীরভূমের মাটি বিজেপিকে কখনও বরদাস্ত করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না। বীরভূমের পবিত্র মাটি বিজেপির হিংসার রাজনীতি প্রবেশ করতে দেবে না। এ মাটি শান্তির মাটি। এখানে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের কোনও জায়গা নেই।' লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও এদিন একহাত নেন তিনি। তাঁকে বাচ্চা মেয়ে বলে সম্বোধন করেন।
[আরও পড়ুন:'হাল ছেড়ো না বন্ধু, কণ্ঠ ছাড়ো জোরে', একুশের সমাবেশে রাস্তায় 'একা' মদন ]