‘আমি তাকালে অধীর প্রস্রাব করে ফেলবে’, ‘পালোয়ানি’ কটাক্ষের পাল্টা বীরভূমের ‘কেষ্টা’র
অধীর-অনুব্রতর বাকযুদ্ধে ফের সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য-রাজনীতি। শনিবার দুই কংগ্রেসেরই সভা ছিল বীরভূমে। সেখানেই অধীরের পালোয়ানি কটাক্ষের পাল্টা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এবার অনুব্রতর নিশানায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অধীরবাবু 'পালোয়ান' মন্তব্যের পাল্টা দিলেন অনুব্রত। বীরভূমের 'কেষ্টা' এদিন খোঁচা খাওয়া বাগের মতোই হুঙ্কার ছাড়লেন, 'আমি যদি ঠিকমতো তাকাই অধীর প্রস্রাব করে ফেলবে।' এর আগে তিনি নিশানা করেছিলেন আবদুল মান্নান আর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। তারপর বিরোধীদের চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন:মুকুলের 'খুন' এপিসোড নিয়ে জল্পনা তৃণমূল শিবিরে, খুশি দিলীপ ঘোষ ]
অধীর-অনুব্রতর বাকযুদ্ধে ফের সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য-রাজনীতি। শনিবার দুই কংগ্রেসেরই সভা ছিল বীরভূমে। অধীরের সভা ছিল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। সেই সভা থেকেই অধীর তোপ দাগেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে। তিনি অনুব্রতকে 'পালোয়ান' বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, 'দিদি-র ভাইয়েরা শুনেছিলাম বড় বড় পালোয়ান। সেই পালোয়ানদের বলুন না পুলিশ ছাড়া পালোয়ানি করে দেখাতে। তাহলেই বোঝা যাবে কত ক্ষমতা।'
আর
তার
খানিকবাদই
মহম্মদবাজারের
জনসভা
থেকে
সেই
চ্যালেঞ্জ
গ্রহণ
করেন
তৃণমূলের
'কেষ্টা'।
তিনি
অধীরকে
উদ্দেশ্য
করে
বলেন,
'অধীর
যেখানেই
ডাকবেন,
সেখানেই
আমি
পালোয়ানি
করতে
রাজি।
অধীর
শুধু
বলুক
কোথায়
পালোয়ানি
করতে
হবে।'
সেইসঙ্গেই
তিনি
মন্তব্য
করেন,
'আমি
যদি
ঠিকমতো
তাকাই
ও
প্রস্রাব
করে
ফেলবে।
ওসব
বড়
বড়
কথা
বেরিয়ে
যাবে।'
সম্প্রতি
অনুব্রত
যে
সভায়
যাচ্ছেন,
সেখানেই
কু-কথার
বর্ষণ
করেই
চলেছেন।
প্রথমে
আবদুর
মান্নান
ও
বিকাশ
ভট্টাচার্যের
ঠ্যাং
ভেঙে
দেওয়া
দিয়ে
শুরু
হয়েছিল
তাঁর
বাক্যবাণ।
তারপর
প্রকাশ্য
জনসভায়
দাঁড়িয়ে
তিনি
হুঙ্কার
ছাড়েন।
বিরোধীদের
চোখ
তুলে
নিয়ে
পাথরের
চোখ
লাগিয়ে
দেওয়ার
নিদান
দেন।
উন্নয়নে
বাধা
দিলে
সব
তছনছ
করে
দেওয়া
হবে
বলেও
জানান
তিনি।
পুলিশের
সামনেই
তিনি
বলেছিলেন,
ঘরবাড়ি
ভাঙচুর
করে
জ্বালিয়ে
দেব।
এই প্রসঙ্গেই অধীর চৌধুরী তাঁকে পালোয়ানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বলেছিলেন, 'যিনি বিরোধীদের চোখ তুলে নেওয়ার কথা বলেন, পাথরের চোখ বসিয়ে দেওয়ার নিদান দেন। পুলিশকে বোম মারার কথা বলেন, তিনি পুলিশকে ছেড়ে একা একা ঘুরুন দেখি। আসলে এই সব নেতাদের বাড়বাড়ন্তের পিছনে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঁরা ক্ষমতা পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। মানুষ এর জবাব দেবে সময় এলেই।'