বিজেপি-র শ্লেষেও রা কাটছেন না! দিদির এক ধমকেই ‘বদলে’ গেলেন কেষ্ট
দিদিকে তিনি মা বলে মানেন। তাই তাঁর অভিভাবিকার নির্দেশ মেনে তিনি গান্ধীগিরিকেই সার ভেবেছেন। বিজেপির তীব্র শ্লেষের পরও নির্লিপ্ত দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডল রা কাটছেন না।
বিজেপির আক্রমণের পরও মুখে রা কাটছেন না অনুব্রত মণ্ডল। দিদির নিষেধ বলে কথা। দিদিকে তিনি মা বলে মানেন। তাই তাঁর অভিভাবিকার নির্দেশ মেনে তিনি গান্ধীগিরিকেই সার ভেবেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ধমক খেয়েই বাধ্য ভাইয়ে পরিণত হয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:গর্জন ছেড়ে কেষ্টর গড়ে 'অরাজক' দাওয়াই বিজেপির, অনুব্রত চুপ হতেই উসকানি ]
যেমন কথা তেমনই কাজ। দুদিন আগে তিনি বাজে কথা ভুলে গানের বাণী তুলে নিয়েছিলেন কণ্ঠে। দিদিকে রেখেছিলেন হৃদ মাঝারে। বলছিলেন, 'দিদি আমার অভিভাবক। ভুল করলে দিদি ধমক দেবেন। আবার ভালোবেসে কাছে টেনে নেবেন। এটাই তো আদর্শ অভিভাবকের গুণ।' দিদিকে মা বলে সম্বোধন করে তিনি বলেছিলেন, 'ছেলে অন্যায় করলে মা যেমন বকে, দিদিও আমাকে বকেছেন। আমি আমার অভিভাবকের কথা মেনেই চলব।'
সেইমতোই বিজেপির জেলা পর্যবেক্ষকের তীব্র শ্লেষের পরও নির্লিপ্ত দোর্দণ্ডপ্রতাপ অনুব্রত মণ্ডল। এদিন বিজেপির শ্লেষের প্রতিক্রিয়া চাওয়ায় সরাসরি বলেই দিলেন, 'আমি এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দেব না। যা বলার বলবেন আমার নেতা ফিরহাদ হাকিম।' পাল্টা হুঙ্কার ছাড়া তিনি বন্ধ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাস্টবার তাঁকে সাবধান করে দিয়েছেন। তিনি নিষেধ করেছেন বাজে কথা বলতে। তাই আর কোনও তোপ নয়, উন্নয়নের বুলিই তিনি আওড়াবেন এবার থেকে।
উল্লেখ্য, বীরভূমে অনুব্রতর রাজপাট পাটে তুলতে বিজেপি ৪০টি মণ্ডলকে নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করে। আগামী সপ্তাহেই মুকুল রায় আসছেন জেলায়। তার আগে বীরভূমের বিজেপি নেতৃত্বকে সংগঠিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে নীতি নির্ধারণ করাও ছিল উদ্দেশ্য। সেই বৈঠক শেষে বিজেপি জেলা পর্ষবেক্ষক সমীরণ সাহা শ্লেষ দাগেন, 'অনুব্রতর যত বাড়বাড়ন্ত কাগজ-টিভিতে। শুধুই ফাঁকা আওয়াজ দেন। এবার পঞ্চায়েতে অনুব্রত মণ্ডল অ্যান্ড টিমকে সমূলে উৎখাত করা হবে। উনি যত অরাজকতা তৈরি করবেন। তার থেকেও বেশি অরাজকতা তৈরি করব আমরা।'
এই হুঁশিয়ারির পরও নীরব অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এখন ফোঁস করতেও ভুলে গিয়েছেন। তাঁর কাছে সবার আগে দিদির নির্দেশের মান্যতা। পদে পদে তিনি বুঝিয়ে দিচ্ছেন সেই কথা। না হলে বিগত দু-মাস ধরে যিনি একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন, তিনি হঠাৎ নির্লিপ্ত হয়ে গেলেন কেন? রাজনৈতিক মহলে এখন তা নিয়েই বেশি চর্চা।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলকে মাত দিতে মুকুল-দিলীপ ঘুরবেন বাড়ি বাড়ি! সবং-যুদ্ধে চ্যালেঞ্জ]