তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বেঁধে পেটানোর নিদান অনুব্রতর! দাওয়াই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে
লোকসভা ভোটের পর কাটমানি ইস্যুতে নাম জড়িয়েছিল একাধিক তৃণমূল নেতার। একের পর এক নেতাকে নিয়ে বিতর্ক অস্তস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূলকে।
লোকসভা ভোটের পর কাটমানি ইস্যুতে নাম জড়িয়েছিল একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। একের পর এক নেতাকে নিয়ে বিতর্ক অস্তস্তিতে পড়তে হয় তৃণমূলকে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়। সেই ভাবমূর্তি উদ্ধারে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই একই পথে হেঁটে মাত্রা ছাড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল।
কাটমানি ইস্যুতে তৃণমূল
কাটমানি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন সজাগ থাকতে। যাতে এই কাটমানি আর কোনও সমস্যা না করতে পারে দলের। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতিদের। তারপরই দিদির নির্দেশ পেয়ে নিচুতলার কর্মীদের সতর্ক করলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
অনুব্রত মণ্ডলের নিদান
অনুব্রত মণ্ডল এদিন নিদান দিলেন, সরকারি যোজনায় বাড়ির জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতারা কোনও টাকা চাইলে তাঁদের বেঁধে পেটান। মহম্মদবাজারে এক কর্মিসভায় এই মন্তব্য করেন অনুব্রত। তাঁর এই মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। নিজের দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এই ফরমান জারিতে নিজেকে ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা।
কেউ টাকা চাইলে তাঁকে বেঁধে পেটান
অনুব্রত বলেন, আপনাদের নামে সরকারি যে বাড়ি এসেছে, সেই বাড়ি করার জন্য যদি তৃণমূলের কোনও নেতা বা কর্মী টাকা চায়, তা হলে তাঁকে বেঁধে পেটান। এটা সকলের কাছে প্রচার করে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। তিনি প্রচার করে দিতে বলেন, কেউ টাকা চাইলে তাঁকে বেঁধে পেটানো হবে।
দলের মধ্যেই বিতর্ক
তাঁর এই মন্তব্যে দলের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একাংশে্র মতে অনুব্রত মণ্ডল এহেন মন্তব্যে নেতা-কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হবে। তবে একাংশ আবার অনুব্রত মণ্ডলের পাশে। তাঁদের যুক্তি, অনুব্রত বলতে চেয়েছেন সরকারি প্রকল্পে সাধারণ মানুষ যে টাকা পাচ্ছেন, সেখানে যেন দলের কেউ হাত না দেন। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব এই মন্তব্যে কোনও ভুল দেখছে না।