মারামারি করতে দিলে ফার্স্ট হবেন অনুব্রত! অসুস্থতার পর রাজনীতিতে ফিরেই স্ব-মেজাজে
অসুস্থতা কাটিয়ে রাজনীতির অন্দরে পা রেখেই হুঙ্কার ছাড়লেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফের পুরনো মেজাজে এদিন পাওয়া যায় তাঁকে।
অসুস্থতা কাটিয়ে রাজনীতির অন্দরে পা রেখেই হুঙ্কার ছাড়লেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ফের পুরনো মেজাজে এদিন পাওয়া যায় তাঁকে। তৃণমূলের বীরভূম জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর এক প্রশ্নের উত্তরে তাঁর মেজাজি জবাব, মারামারি করতে দিলে তিনি ফার্স্ট হবেন।
সুস্থ হয়েই সটান অফিসে
ভোটে আশাতীত সাফল্য পাননি। জেলার দুটি আসনে জিতলেও নিজের ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাই মন খারাপ তাঁর। দিদির কাছে ধমকও খেয়েছেন সে জন্য। আর তারপর থেকেই তিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাঁর ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসেও অংশ নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আর বসে থাকতে পারেননি, সোজা অফিসে চলে এসেছেন অনুব্রত।
কেমন আছেন, কেষ্টদা দিলেন উত্তর
সেখানেই তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, কেমন আছেন কেষ্টদা? সঙ্গে সঙ্গে তাঁর চটজলদি উত্তর, এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। বেশে ভালো লাগছে। এখন আমাকে মারামারি করতে দিলে ফার্স্ট হতে পারি। তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কোনওদিনও বিতর্ক ছাড়া থাকেননি অনুব্রত। তাই ৩৪ দিন পর রাজনীতিতে ফিরে তিনি এটুকু বিতর্ক বাঁধাবেন, তা আর নতুন কী!
দলের খোঁজে অনুব্রত
৩৪ দিন পর বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে আসেন। খোঁজখবর নেন দলের পরিস্থিতির। জনসংযোগমূলক কাজকর্মের অগ্রগতি কেমন, তা জানতে চান। দিদিকে বলো কর্মসূচির রূপায়ণে তিনি কথা বলেন নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে কী কী করণীয়, তা কীভাবে সারতে হবে, জানিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল।
৩৪ দিন অসুস্থ ছিলেন অনুব্রত
উল্লেখ্য, জুলাই মাসের প্রথমের দিকে হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় অনুব্রতর। তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। হাইপারটেনশন থেকে এই সমস্যা ছাড়াও তাঁর রক্তচাপজনিত সমস্যা, সুগার, কার্বোঙ্কল হয়েছিল। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। তারপর দীর্ঘদিন তিনি বাড়ি ফিরেও বিছানা ছাড়তে পারেননি। একটু সুস্থ হতেই তিনি ছুটে গেলেন বীরভূমের দলীয় কার্যালয়ে।