এবার ‘এক নেতা এক পদ’! তৃণমূলে নয়া নীতি প্রণয়নে কেষ্ট-গড়ে পদত্যাগের হিড়িক
নিজের দলকেই হুশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অঞ্চল সভাপতিদের জেলা খাটানোর হুমকির পর এলও আরও সতর্ক বার্তা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বোর্ড গঠন পর্বের শুরু থেকেই একের পর এক নীতি নির্ধারণ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসে। বিশেষ করে অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে নানা নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডল দলের সভাপতিদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জেল খাটানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। এবার সেই অনুব্রতই বলে দিলেন, এক পদ এক নীতি মানতে হবে।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির ঘোষণা, পঞ্চায়েত গঠনের পর দেখা যাচ্ছে এলাকার বেশ কিছু সভাপতি দুটি পদেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে আবার নিজে সাংগঠনিক পদে থেকে স্ত্রীকে সমিতির সভাপতি বা পঞ্চায়েত প্রধান পদে বসিয়ে রেখেছেন। এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দলের অন্দরেই। তাই লোকসভার আগে নয়া নীতি নির্ধারণ করা হল।
এবার এক পদ এক নীতি মেনে চলবে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস। অনুব্রত মণ্ডল এই নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এলাকায় হয় প্রশাসনিক পদ, নতুবা সাংগঠিক পদ বেছে নেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়েছে বীরভূমে। সাঁইথিয়া থেকে মযূরেশ্বর- সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে পদ ছাড়ার হিড়িক। এই নির্দেশের আগে অনেক অঞ্চল সভাপতি পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে বসেছিলেন, তাঁরা কোনও একটা পদ ছেড়ে দিচ্ছেন।
এর আগে নিজের দলকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের জেলা খাটানোর হুমকির পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হুঁশিয়ারি ছিল, এক বছরের মধ্যে দুর্নীতি করলেই কে়ড়ে নেওয়া হবে পদ। সবাইকে এই ভাষাতেই তিনি সাবধান করে দেন।