
আজকের মত জেরা মুক্তি, ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ অনুব্রতকে, নিজাম প্যালেস থেকে সোজা এসএসকেএমে কেষ্ট
৪ ঘণ্টা জেরার পরেই অনুব্রত মণ্ডলকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেল নিজাম প্যালেস থেকে। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সোজা তিনি পৌঁছে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে জরুরি বিভাগে হাজির হয়েছেন তিনি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হঠাৎ কেন তিনি হাজির হলেন সেটা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।

জেরা শেষ অনুব্রত
সকাল ১০টা ঢুকেছিলেন নিজাম প্যালেসে। সেখানে দফায় দফায় জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। দুপুর ২টোর পর সিবিআই জেরা থেকে মুক্তি পান তিনি। মোট চার ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সাত পাতার প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছিল তাঁর জন্য। পর পর ৬ বার হাজিরা এড়ানোর পর অবশেষে তিনি হাজির হয়েছিলেন সিবিআই দফতরে। নিজেই বুধবার জানিয়েছিলেন সেকথা। তারপরেই নির্ধারিত সময়ে সকালে নিজাম প্যালেসে হাজির হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথম দিনেই বেশিক্ষণ আটকে রাখা হয়নি কেষ্টকে। ৪ ঘণ্টা জেরার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

এসএসকেএম হাসপাতালে অনুব্রত
দুপুর আড়াইটে নাগাদ নিজাম প্যােলস থেকে বেরিয়ে সোজা এসএসকেএমের পথ ধরে তাঁর কনভয়। যদিও আগে থেকে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কাছে। যদিও আজ রুটিন চেকআপে আসার কথা ছিল। কিন্তু কখন তিনি আসবেন তিনি তা নিয়ে কোনও তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না। সেই কারণে অনুব্রত মণ্ডলের হঠাৎ এসএসকেএম উপস্থিতি হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি প্রথমে পৌঁছে গিয়েছিল জরুরি বিভাগে। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষার পর হুইল চেয়ারে উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানে ২১১ নম্বর কেবিলে ভর্তি হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি।

অনুব্রতর সিবিআই হাজিরা
পর পর ৬ বার সিবিআই হাজিরা এড়ানোর পর অবশেষে নিজেই সিবিআই হাজিরা দিতে রাজি হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আগের দিন চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে চান অনুব্রত মণ্ডল। তার চিঠি পাওয়ার পরেই তৎপর হয়ে ওঠেন সিবিআই আধিকারীকরা। নীল বাতি ছাড়া গাড়িতেই তিনি সিবিআই অফিেস হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে জেরা করার জন্য রাতভর প্রস্তুতি নিয়েছিল সিবিআই আধিকারীকরা।

শারীরিক অসুস্থতা
শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে গিয়ে সিবিআই আধিকারীকদের জেরা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সিবিআই আধিকারীকরা এই নিয়ে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি। এই নিয়ে তাঁরা উচ্চ পর্যায়ের আধিকারীকদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তাঁরা।