কথায় কথায় উন্নয়ন দেখান, তাঁকেই কি না অনুন্নয়নের খোঁটা, যুবককে ‘জবাব’ অনুব্রতর
কথায় কথায় তিনি উন্নয়নকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেন। তাঁর সামনেই কী দুঃসাহস দেখাল যুবক! কোনও রাখঢাক না করেই অনুব্রতকে অনুন্নয়নের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তরুণ।
কথায় কথায় তিনি উন্নয়নকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেন। তাঁর সামনেই কী দুঃসাহস দেখাল যুবক! কোনও রাখঢাক না করেই অনুব্রতকে অনুন্নয়নের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তরুণ। সবাই তখন প্রমাদ গুণছেন। আবার ভাবছেনও- সাহস আছে বলতেই হবে! একেবারে দুঃসাহস দেখিয়ে ছাড়লেন তরুণ। এবার কী বলবেন অনুব্রত? কী-ইবা হাল হবে ওই যুবকের?
হাততালির জোয়ারের মাঝেই দুঃসাহস
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামে। তখন সভায় বক্তব্য রাখছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বক্তব্য চলছে, হাততালির জোয়ার বইছে। তখনই এক প্রশ্নে থমকে যায় সব কিছু। জনতার মধ্যে থেকেই কে যে বলে ওঠে- সব জায়গায় উন্নয়ন হয়নি। এখনও দ্বারকা ব্রিজ হয়নি মাড়গ্রামে।
উন্নয়নের খতিয়ানের মাঝেই খোঁটা
তখন তৃণমূল আমলের উন্নয়নের খতিয়ান শোনাচ্ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেইসঙ্গে বিরোধীদের বিঁধছিলেন চোখা চোখা সংলাপে। তখনই তাল কেটে দিলেন ওই যুবক। সভায় উপস্থিত সবাই যখন তাল মেলাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে, তখনই একা যুবক হাঁটলেন অন্যপথে। সত্যি কথা বললেন বুক ফুলিয়ে।
উন্নয়নের বিরোধিতা তো করেননি
তিনি তো উন্নয়নের বিরোধিতা করেননি। বলেননি যে, তৃণমূলের আমলে উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের ফাঁকে অনেক কাজ বাকি রয়ে যাচ্ছে, সেই কথাই মনে করিয়ে দেন তরুণ। সবাই ভেবেছিলেন- এবার বিস্ফোরণ ঘটবে। দুঃসাহস দেখানো বেরিয়ে যাবে। কেউ ভাবছেন শিলাদিত্যের মতো অবস্থা হবে। কিন্তু ঘটল ঠিক উল্টোটাই।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল নেতাকে রাস্তায় ফেলে উত্তম-মধ্যম ধোলাই, স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত স্ত্রীও]
কী জবাব দিলেন অনুব্রত
থমকে গেলেন খানিক। ভাষণ থামিয়ে দিলেন। গর্জন করে উঠলেন না। তবে কি যুবকের খোঁচা হজম করে নিলেন? না, তা তিনি করবেন কেন? তিনি অনুব্রত মণ্ডল বলে কথা। একেবারে ঠান্ডা মাথায় তিনি যুবককে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার বয়স কত? যুবক উত্তর দিলেন- ৪০। সিপিএমকে কত বছর দেখেছ? কী করেছে? না, এর বেশি কিছু ঘটেনি। অনুন্নয়ন খোঁচার জবাবের সমাপ্তি এখানেই।
[আরও পড়ুন: সাধারণ নির্বাচনে এবার বিদেশি পর্যবেক্ষক! জোর তৎপরতা শুরু করল নির্বাচন কমিশন]