তৃণমূলের ‘কেষ্ট’ হলেন পার্থর সহযোগী! লোকসভার আগে গুরুদায়িত্ব অর্পণ অনুব্রতকে
বিতর্কিত কিন্তু জনপ্রিয় অনুব্রত মণ্ডলের উপর গুরুদায়িত্ব অর্পণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে শেষে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এবার নদিয়া জেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পাচ্ছেন
বিতর্কিত কিন্তু জনপ্রিয় অনুব্রত মণ্ডলের উপর গুরুদায়িত্ব অর্পণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে শেষে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, এবার নদিয়া জেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি নিজে এই জেলার দায়িত্বে রয়েছেন, জেলার গুরুত্বের কথা চিন্তা করে অনুব্রতর পাশাপাশি অভিষেককেও দায়িত্বে আনছেন নেত্রী।
অনুব্রতর ভোকাল টনিকে ভরসা
অনুব্রতর ভোকাল টনিক এখন রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ খ্যাত। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও সর্বজনবিদিত। তাই তো একজন জেলা সভাপতি হয়েও তিনি রাজ্য রাজনীতিতে অতি পরিচিত নাম। তিনি কোনও মন্ত্রী নন, নন কোনও সাংসদও, তবু তিনি সমীহ আদায় করে নিয়েছেন দলে। তার ফলেই দায়িত্ব বৃদ্ধি, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নদিয়ার দায়িত্বে অনুব্রতও
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ দায়িত্ব পেলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গণ্ডির বাইরে থেকে বেরিয়ে অর্থাৎ বীরভূম জেলার পাশাপাশি এবার নদিয়া জেলারও দায়িত্ব পেলেন তিনি। এদিন নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক শেষে তাঁকে এই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে গুরুদায়িত্বে অনুব্রত
অনুব্রত মণ্ডল এককালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, তিনি গণ্ডির মধ্যে বাঁধা পড়তে চান না। তাই সাংসদ বা বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই তাঁর। তিনি বীরভূম জেলার সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েই খুশি। কিন্তু দল তাঁকে আর শুধু একটা জেলার মধ্যে বাঁধা রাখতে চাইছে না। তাঁর সাংগঠনিক দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে অনুব্রতর প্রথম পদক্ষেপ নদিয়ায়।
কেষ্টকে ভরসা করেন মমতা
অনুব্রতর মণ্ডলের বাউন্সারে যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসা রয়েছে, তা অনুব্রতর এই সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতেই প্রমাণিত। বীরভূমের মতো অনুব্রত-ফর্মুলা তাই অন্য জেলাতেও প্রয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল। নদিয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। সেই গোষ্ঠীকেন্জন মেটাতে অনুব্রতর দাপট কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। ফলে পাচনের বাড়ি এবার পড়বে নদিয়া জেলাতেও