এবার ‘গণ্ডি’র বাইরে বেরনোর ছাড়পত্র পেলেন অনুব্রত! দায়িত্ববৃদ্ধি লোকসভার আগেই
তিনি বিতর্কিত কিন্তু জনপ্রিয়। তাঁর ভোকাল টনিক যেমন রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ খ্যাত, তেমনই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও সর্বজনবিদিত।
তিনি বিতর্কিত কিন্তু জনপ্রিয়। তাঁর ভোকাল টনিক যেমন রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ খ্যাত, তেমনই তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও সর্বজনবিদিত। তা না হলে একজন জেলা সভাপতি হিসেবে তিনি বিখ্যাত হতে পারতেন রাজ্য রাজনীতিতে। না কোনও মন্ত্রী, না কোনও সাংসদ, তবু তিনি সমীহ আদায় করে নিয়েছেন দলে। তিনি যে অনুব্রত মণ্ডল।
দায়িত্ব বাড়ছে অনুব্রতর
এবার তিনি বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে। বীরভূম জেলার পাশাপাশি বর্ধমানের মঙ্গলকোটেও ছড়ি ঘোরান। এবার তাঁর ভোকাল টনিক কাজে লাগাতে অন্য তিন জেলাতেও ডাক পেতে শুরু করেছেন। দুই বর্ধমানের সঙ্গে নদিয়াতেও তাঁর ডাক পড়েছে।
গণ্ডির বাইরে বেরোচ্ছেন অনুব্রত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, তিনি গণ্ডির মধ্যে বাঁধা পড়তে চান না। তাই সাংসদ বা বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই তাঁর। তিনি বীরভূম জেলার সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েই খুশি। কিন্তু দল এবার তাঁর সাংগঠনির দায়িত্ব বৃদ্ধি করছে।
কেষ্ট-র বাউন্সারে ভরসা
অনুব্রতর মণ্ডলের বাউন্সারে যে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসা রয়েছে, তা অনুব্রতর সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতেই প্রমাণিত। বীরভূমের মতো অনুব্রত-ফর্মুলা তাই অন্য জেলাতেও প্রয়োগ করতে চলেছে বিজেপি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে অনুব্রতর দাপট কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল।
বীরভূমের বাইরেও পাচনের বাড়ি
সম্প্রতি নদিয়ায় এক সাংগঠনিক সভায় ডাক পড়েছে তাঁর। তিনি সেই সভায় যোগ দিতে যাবেনও। তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছে, অনুব্রত ম্যাজিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে লোকসভায় বিজেপিকে মোক্ষম ধাক্কা দিতে। তাই বীরভূমের পর দুই বর্ধমান ও নদিয়াতেও এবার পাচনের বাড়ির রাজনীতির মুখে পড়তে হবে বিরোধীদের।