সভাপতি হলেই ভয়ঙ্কর পরিণতি! শেষে পদটাই তুলে দিলেন অনুব্রত, ভোটের আগে ঝুঁকি নয়
সভাপতি হলেই পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্কর। তাই আর কোনও ঝুঁকি নয়। সভাপতি পদই আপাতত তুলে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
সভাপতি হলেই পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্কর। তাই আর কোনও ঝুঁকি নয়। সভাপতি পদই আপাতত তুলে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের খয়রাশোল ব্লককে সভাপতিহীন করে তিনি নতুন 'নজির' তৈরি করলেন। তিনি বলেন, আপাতত খয়রাশোল ব্লকে কোনও সভাপতি থাকবে না। ১১ জনের কমিটি সাংগঠনিক কাজকর্ম চালাবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২২ অক্টোবর দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষ। শত চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তারপর থেকেই এই ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সভাপতি ছিল না। এরই মধ্যে খয়রাশোসলে ২৮ জানুয়ারি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ওইদিন এক লক্ষ লোকের সমাবেশ করব।
কিন্তু হঠাৎ এই ব্লককে সভাপতিহীন করে রাখলেন কেন অনুব্রত? তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, লোকসভার আগে নতুন সভাপতি নয়। লোকসভার পর ব্লক সভাপতি নির্বাচন করা হবে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অন্য মত প্রকাশ করছেন। তাঁদের মতে ওই ব্লকে পর পর তিন জেলা সভাপতি খুন হয়েছেন। তাই লোকসভার আগে আর ঝুঁকি নয়।
দীপক ঘোষের দাদা অশোক ঘোষ খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। ২০১২ সালের অগস্ট মাসে তিনি খুন হন। এরপর অশোক মুখোপাধ্যায় ব্লক সভাপতির দায়িত্ব নেন। তিনি প্রথমে ঘরছাড়া হন। তারপর ঘরে ফেরার পরদিনই বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর হট-সিটে বসেন দীপক ঘোষ। তাঁর পরিণতি হয় ভয়ঙ্কর। তাই আপাতত সভাপতিহীন খয়রাশোল তৃণমূল।