মশারি খাঁটানো আছে, আর মশা ঢুকবে না! বিজেপিকে কী বার্তা দিতে চাইলেন অনুব্রত
বিজেপিকে মশার সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার নাম না করেই তিনি বলেন, ‘মশারি খাঁটানো আছে। আর মশা ঢুকবে না।
বিজেপিকে মশার সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সোমবার নাম না করেই তিনি বলেন, 'মশারি খাঁটানো আছে। আর মশা ঢুকবে না।' তাঁর কথায়, 'বিরোধীদের পায়ের তলায় মাটি নেই। ওরা তাই সন্ত্রাসের কথা বলে সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা করছে। সবই ঢপ ওদের।'
[আরও পড়ুন:প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, রাহুলকে টেক্কা দিয়ে আগেভাগেই ময়দানে মোদী-শাহরা]
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের শেষদিনে এসে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'মশারা একটু ভনভন করছিল। ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু আমরা মশারি খাঁটিয়ে দিয়েছি। ফলে মশার ভনভনানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মশা আর ঢুকবে না। আসলে বিরোধীদের কোনও ভিত নেই। ওরা সব ফাঁকা আওয়াজ করছিল। তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।'
এদিন অনুব্রত মণ্ডল সাফ জানান, 'বিরোধীদের সঙ্গে লোক নেই। তাই ওরা প্রার্থী দিতে পারছে না। প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বতলা ঢাকতে উল্টে আমাদের দোষারোপ করছে। আমরা কোথাও কোনও বাধা দিইনি। আমরা বাধা দিলে একটা মনোনয়নও করতে পারত না ওরা। বাকি যে সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম, সেইসব আসনে ওরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না।'
অনুব্রত বিরোধীদের বার্তা দেন, 'প্রার্থী থাকলে নিয়ে আসুন। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মনোনয়ন দেওয়াব।' আর বিরোধীদের এই সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'মানুষ সঙ্গে নেই বলেই ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে হামলা চালাচ্ছে বিজেপি। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, প্রশাসন তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে।'
এদিন অনুব্রত বলেন, উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। রাস্তার ধারে উন্নয়ন দাঁড় করানো হচ্ছে। সেই উন্নয়ন দেখবে মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়ন দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন বাংলাকে। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, মশার অত্যাচার বেড়েছিল, আমরা মশা খাঁটিয়ে দিয়েছি।