মন্ত্রী-বিধায়ক করতে চাইলে দল ছেড়ে দেবেন অনুব্রত! কেন, স্পষ্ট করলেন নিজেই
তিনি আর পাঁচজন জেলা সভাপতির মতো নন। আর পাঁচজনের থেকে অনেকটাই আলাদা। তৃণমূলের অনুব্রত হতে চান না বিধায়ক বা সাংসদ, কিংবা মন্ত্রী হতেও তাঁর ঘোর আপত্তি।
তিনি আর পাঁচজন জেলা সভাপতির মতো নন। আর পাঁচজনের থেকে অনেকটাই আলাদা। তৃণমূলের অনুব্রত হতে চান না বিধায়ক বা সাংসদ, কিংবা মন্ত্রী হতেও তাঁর ঘোর আপত্তি। শুধু চান দলের সংগঠন করতে। তাতেই তৃপ্তি। আর মন্ত্রী-বিধায়কে তাঁর একটাই অনীহা যে, তাঁর উপর বিধায়ক-মন্ত্রিত্ব চাপালে তিনি দল ছেড়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
কেন ভয় অনুব্রতর?
তাঁর সাফ কথা, অনুব্রত মণ্ডল কখনও ভয় পেতে শেখেনি। জীবনের প্রতি তাঁর কোনও মোহ নেই। তিনি দেশের ও দশের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি সেই কাজ করে যাবেন। তিনি ভয় পান না। তাহলে কেন তিনি বিধায়ক-মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবে দল ছাড়ার কথা বলেছিলেন, জনপ্রিয় এর বাংলা বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে তা খেলসা করলেন অনুব্রত।
কেন এমন কথা বলেছিলেন?
এতদিন পর বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ব্যাখ্যা করলেন মন্ত্রিত্বে তাঁর এহেন অনীহার কারণ। তিনি স্পষ্ট করেই বললেন, বিধায়ক বা সাংসদ বা মন্ত্রী মানেই গ্যারেজ হয়ে যাওয়া। আমি এক জায়গায় আবদ্ধ থাকতে পছন্দ করি না। আমি খুশি সংগঠনের কাজে। সংগঠন করতে খুব ভালোবাসি। তাই বিধায়ক ও মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।
বড় দায়িত্ব নিতে ভালোবাসেন অনুব্রত
নিজেই বললেন, আমি দায়িত্ব নিতে ভালোবাসি। একটা জায়গা নয়, আরও বড় দায়িত্ব। আর আমাপ দায়িত্ব একজন বিধায়ক, সাংসদের থেকেও বেশি। একজন সাংসদ বা বিধায়ক হলে যে সংখ্যক মানুষের সেবা করতে পারব, তার থেকেও অনেক বেশি মানুষের সেবা করতে পারছি। মানুষের আশীর্বাদ থাকলে আরও করতে পারব।
এবার তো আরও বড় দায়িত্ব
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই বড় দায়িত্ব। অনুব্রতর কথায়, এথন কেউ নেই তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে। সিপিএমকে সরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম, সিপিএমকে সরিয়েছি। এখন সিপিএমের ধ-ব নেই। আর বিজেপির বাজনার থেকে খাজনা বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ৪২-এ ৪২ পাবে তৃণমূল। বিজেপি যতই ২২ টার্গেট নিক।