‘পুলিশের ঘাড়ের উপর দাঁড়িয়ে পিষে মেরে ফেলব’, দিলীপ বললে ঠিক, অনুব্রত বললে দোষ
পুলিশের ঘাড়ের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে পুরো পিষে মেরে ফেলব’। এবার পুলিশকে খুনের হুমকি খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
'পুলিশের ঘাড়ের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে পুরো পিষে মেরে ফেলব'। এবার পুলিশকে খুনের হুমকি খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আর এই হুমকির পরই দিলীপ ঘোষকে একহাত নিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেই সব ঠিক! আর আমি বললেই যত দোষ!
পুলিশকে মারার নিদান দিলীপের
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় একটি সভায় দিলীপ ঘোষ পুলিশের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, আমি মার্ডার না করেই মার্ডার কেসের আসামী হয়ে যাচ্ছি। আর তাই যদি হয়, পুলিশের ঘাড়ের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে পুরো পিষে মেরে ফেলব। আমরা সবকিছুই ডায়েরিতে নোট করে রাখছি।
কাউকে ভয় পায় না দিলীপ ঘোষ
এরপর পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এমন মার মারব বাড়ির বউ-বাচ্চাও চিনতে পারবে না। আর তা না হলে জঙ্গলমহনল বা পাহাড়ে পাঠিয়ে দেব, রোজই গণধোলাই খাবে। আমি কাউকে ভয় পাই না। আইপিএস হোক বা ডব্লুবিসিএস কিংবা আইএস- কাউকে না।
আগে পুলিশকে বোম মারার নিদান কেষ্টর
আর এর আগে ২০১৩-র পঞ্চায়েত ভোটের সময় পুলিশকে বোম মারার নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তখন বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার দিলীপ ঘোষ পুলিশকে মারার নিদানা দিতে তাই কোমর বাঁধলেন তৃণমূলের কেষ্ট। তাঁর কটাক্ষ, দিলীপ ঘোষ প্রমাণ করলেন তাঁর সাংসদ হওয়ার যোগ্যতাই নেই।
বিশ্রামবাবুরা এখন কোথায়? কটাক্ষ
কারণ, সাংসদের মুখে ওই ভাষা মানায় না। অনুব্রত বলেন, আমি বিধায়ক নই, সাংসদও নই। একজন সাধারণ কর্মী। আমি এরকম কথা বললে, সবাই অমনি উঠেপড়ে লাগে। কী সিপিএম, কী বিজেপি আর কী কংগ্রেস। সন্ধ্যাবেলায় বিশ্রামবাবুরা সমালোচনা শুরু করে দেন টিভিতে। এখন তাঁরা কোথায়? দিলীপবাবু বুঝি এখন হক কথা বলছেন!