তৃণমূলে নতুন করে 'বিক্ষুব্ধ' আরও এক বিধায়ক! মমতা ঘনিষ্ঠ বিধায়কের শুভেন্দু স্তুতিতে জল্পনা
অন্তত চার মাস বাকি বিধানসভা নির্বাচনের। কিন্তু একটা একটা করে দিন যত বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে তৃণমূলে বিক্ষুব্ধ জন প্রতিনিধির সংখ্যা ততই বাড়ছে। নিজের এলাকায় দলের ও প্রশাসনিক কাজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক কুমার হালদার। যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ তৃণমূল বিধায়কের
দলের মধ্যে বলার জায়গা নেই। সেই কারণেই হয়তো সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপককুমার হালদার। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, বারবার সংবাদ শিরোনামে দেখে নিশ্চিত হলাম যে ডায়মন্ডহারবার বিধানসভায় নতুন বিধায়ক তৈরি হয়েছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন খুব ভাল। বিধায়ক মহাশয় কাজ চালিয়ে যান। তিনি আরও বলেছেন, ডায়মন্ডহারবারের গণদেবতারা সব দেখছেন, ঠিক সময়ে উত্তর পেয়ে যাবেন।

শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিতি
রাজনৈতিক মহলে বলছে, ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপককুমার হালদার শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। এব্যাপারে কোনও নাম জানাতে তিনি রাজি হননি। বলেছেন, এলাকার মানুষ সব জানেন। এলাকায় প্রশাসনিক কোনও এলাকার বিধায়ককে ডাকা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন দীপক হালদারের অনুগামীরা। শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।

শুভেন্দু দল ছাড়লে তৃণমূলের ক্ষতি
এদিকে তৃণমূলের অন্দরমহলে যে শুভেন্দু অনুরাগীর সংখ্যা কম নয়, তাও প্রকাশ্যে আসছে। এব্যাপারে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের মন্তব্যও উল্লেখযোগ্য। প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তৃণমূলে পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী সবচেয়ে জনপ্রিয়। তিনি (শুভেন্দু) যদি দল ছাড়েন তাহলে তৃণমূলের ক্ষতি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে উত্তরপাড়ার টিকিট দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি দলের কাজে অসন্তুষ্ট।
লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের মাতব্বরির জন্য হুগলি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। নিজেদের সংশোধন না করেই বিজেপিকে শত্রু মনে করার কথাও তিনি বলেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছিলেন জেলায় দলের কর্মসূচি সম্পর্কে নির্বাচিত বিধায়কদের জানানো হচ্ছে না। কটাক্ষ করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বিড়ালকে মাছ পাহাড়ার জন্য রাখা হচ্ছে, কিন্তু বিড়ালই মাছ নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে খড়গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান জহর পাল জানিয়েছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পাশে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে বিস্ফোরক মিহির গোস্বামী
শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, তোলাবাজি, চাকরি বা পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাটমানি খায় তৃণমূল নেতারা। ওই দলের অধিকাংশ নেতা দুর্নীতি পরায়ন হয়েও ওপরতলা থেকে প্রশ্রয় পান বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিন তিনি উত্তরবঙ্গের জন্য দাবি সম্বলিত একটি পত্র তুলে দেন অমিত শাহের হাতে।

শুভেন্দুর 'অরাজনৈতিক’ সভাস্থলে শিবসেনার পতাকা! একুশে নয়া সমীকরণের জল্পনা