ফের দিঘার উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন পর্যটক
দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক পর্যটকের। মঙ্গলবার সকালে নিউ দিঘা এলাকায় তলিয়ে যান দিপু সেনাপতি (৪০)।
দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক পর্যটকের। মঙ্গলবার সকালে নিউ দিঘা এলাকায় তলিয়ে যান দিপু সেনাপতি (৪০)। তাকে কোন রকমে নুলিয়ারা উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। দিপু র বাড়ি হুগলী জেলার খানাকুলের রাজাহাটি গ্রামে।
সোমবার বিকেলে কয়েক জন বন্ধুর ও তাদের পরিবারের সাথেই স্ত্রী মিতাকে নিয়ে দিঘা ঘুরতে আসেন। দিপু। এদিন সকালে যখন তিনি সমুদ্রে নামেন সেই সময় বড় ঢেউ ছিল। তাকে ও তার স্ত্রী মিতাকে নামতে নিষেধ করা হলেও তারা সেই নিষেধাজ্ঞা শোনেন নি।
জানা গিয়েছে যে, বড় ঢেউ দেখে তার স্ত্রী মিতা ছবি তোলার জন্য মোবাইল ফোন নিয়ে এগিয়ে যান। তাকে ডাকা হলেও তিনি থামেননি। ঢেউ সামলাতে না পেরে তিনি যখন তলিয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় তার স্বামী তাঁকে কোনও রকমে উদ্ধার করেন। কিন্তু নিজে তলিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত নুলিয়ারা তাদের উদ্ধার করে দিঘা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় দিপুকে। হাসপাতালে ভর্তি তার স্ত্রী। দিপু মদ্যপান করে সমুদ্রে নেমেছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে যে গত এক মাসে দিঘার সমুদ্রে নেমে মৃত্যু হয়েছে অন্তত চার জনের, গত দুমাসে এই সংখ্যাটা অন্তত সাত।
[আরও পড়ুন:এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় সন্দেহ, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে অসম সরকার]
গত ২৫ আগস্ট ওল্ড দিঘায় সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হয় বর্ধমান জেলার মেমারি এলাকার সেখ মানিকের। ১৬ আগস্ট মন্দারমনি সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয় বর্ধমান জেলার জামালপুর এলাকার বেচা পাত্রর দেহ। আগের দিন দিঘা সমুদ্র সৈকতে স্নান করতে নেমে ভেসে যান তিনি। ১১ আগস্ট উদয়পুর সৈকতে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হয় রাকেশ কোলে নামে এক পর্যটকের। এর আগের মাসে ওল্ড দিঘায় সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হয় নিউ ব্যারাকপুরের শঙ্কর দেবে র। তার পাঁচ বছরের মেয়ে কে নিয়ে সমুদ্রে নামেন তিনি। ঢেউ এলে কোন রকমে মেয়ে কে বাঁচাতে পারলেও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে যে অনেক পর্যটক নিষেধাজ্ঞা মানছে না, উত্তাল ঢেউ থাকার সময় তাদের নামতে নিষেধ করলেও নিরাপত্তা বাহিনীর নজরের বাইরে গিয়ে সমুদ্রে নেমে পড়েছেন। অনেকেই আবার মদ্যপান করে সমুদ্রে নেমে বিপদ ডেকে আনছেন।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলায় ইকবালের আবেদনের শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে]