জুনিয়র মৃধা খুনে এখনও সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় ৩! মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
জুনিয়র মৃধা খুনে এখনও সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকায় ৩! মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
২০১১-তে তরুণ সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা (junior mridha) খুনের ঘটনায় বান্ধবী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে (priyanka chowdhury) সিবিআই গ্রেফতার করলেও এখনও বয়ানে রয়েছে বিস্তর অসঙ্গতি। সিবিআই-এর অনুমান প্রিয়ঙ্কা এখনও কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার ব্যারাকপুর আদালত প্রিয়ঙ্কা চৌধুরীকে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের আদেশ দিয়েছে। তাকে ফের আদালতে হাজির করা হবে ১২ জানুয়ারি।
খুনের দিন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ফোনে ২১ বার কথা
২০১১-র ১২ জুলাই রাতে খুন করা হয় জুনিয়র মৃধাকে। সিবিআই জানতে পেরেছে, সেদিন ২১ বার জুনিয়রের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল প্রিয়ঙ্কার। এছাড়াও সেদিনই প্রিয়ঙ্কার ডাকেই অফিস থেকে চলে এসেছিলেন জুনিয়র। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা নিজের তাঁর কাছে যাননি। এর পিছনে কী কারণ তা খুঁজে বেরাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, এখনও জেরায় অসঙ্গতি রয়েছে প্রিয়ঙ্কার।
প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে টলিউডের বেশ কয়েকজনের সম্পর্ক
পড়তেন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে। সেখান থেকে মডেলিং। আর কম বয়সেই মোহনবাগান কর্তা শিল্পপতি বলরাম চৌধুরীর পুত্রবধূ । কিন্তু বিয়ের পরেই একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেরকমই একজন হলেন জুনিয়র মৃধা। ফেসবুক থেকে আলাপ। তারপরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। কিন্তু সেই সময় প্রিয়ঙ্কা নিজের বিয়ের খবর জানাননি কাউকে। এমন কী জুনিয়রদের বাড়িতে গিয়েও নিজেকে কলেজছাত্রী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে জুনিয়রের হত্যার বছর অর্থাৎ ২০১১-তেই টলিউডের বেশ কয়েকজনের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল প্রিয়ঙ্কার।
কাউকে আড়ালেন চেষ্টা, সিবিআই রেডারে তিন
সিবিআই-এর অনুমান, প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী এখনও কাউকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আড়াল করার চেষ্টা করছেন। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কাকে গ্রেফতার করা হলেও, আরও তিনজনের ওপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
২০১১-র ১২ জুলাই খুনের ঘটনা
২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল জুনিয়রের দেহ। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু বোঝানোর চেষ্টা করার আগে, জুনিয়রের ঘাড়ের কাছে গুলি করা হয়েছিল। পরে ময়নাতদন্তে দেহের ভিতরে মিলেছিল গুলি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-র ১২ জুলাই রাত ৯.২১-এ শেষবারের জন্য প্রিয়ঙ্কাকে ফোন করেছিলেন জুনিয়র। এরপর সাড়ে নটার আশপাশে তাঁকে খুন করা হয়।
মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
জুনিয়রের সঙ্গে হওয়া শেষ ফোনে প্রিয়ঙ্কা কী বলেছিলেন, তা এখনও সিবিআই জানতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। প্রিয়ঙ্কা জুনিয়রকে কেন সল্টলেকে ডেকেছিলেন, তা নিয়েও বয়ান বদল করেছেন বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়াও পার্টিতে যাওয়া নিয়ে নিজের স্বামী, না টলিউডের প্রযোজক কার সঙ্গে গণ্ডগোল তা নিয়ে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি প্রিয়ঙ্কা চৌধুরী।
কেরলে বার্ড ফ্লুয়ের আতঙ্কের পর কর্নাটকের চার সীমান্তবর্তী জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি