মুকুল একা নন, তৃণমূলে ভাঙনের জন্য অপেক্ষা করে আছেন আরও একজন, লড়াই জোরদার
মুকুল একা নন, তৃণমূলে ভাঙনের জন্য অপেক্ষা করে আছেন আরও একজন, লড়াই জোরদার
পাখির চোখ বাংলা দখল। তৃণমূলেরও যেমন লক্ষ্য, লক্ষ্য বিজেপিরও। ২০২১-এর আগে তা নিয়ে বেশ চর্চা হচ্ছে, তৃণমূল বাংলার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কি না, নাকি তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি বাংলার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। তবে এরই মধ্যে আরও এক সম্ভাবনা তৈরি হতে চলেছে বাংলার রাজনীতিতে।
তৃণমূলে বিরাট ভাঙন আসন্ন প্রায়
বিজেপি ছাড়াও কংগ্রেস ও সিপিএম তথা বামফ্রন্ট মনে করে তৃণমূলে বিরাট ভাঙন আসন্ন প্রায়। তৃণমূলে ভাঙন হলেই পাশা পুরো ঘুরে যাবে। বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে পট পরিবর্তন ঘটবে। এই আশা করে শুধু একা মুকুল রায় বসে নেই। এই আশা করছে কংগ্রেস, বামফ্রন্টও। তবে এর মধ্যে কংগ্রেসের ভাবনা অনেকটাই এগিয়ে।
তৃতীয় শক্তিও এই লড়াইয়ের অংশ হবে
২০২১-এর এ লড়াই শুধু তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে হবে না। তৃতীয় শক্তিও এই লড়াইয়ের অংশ হবে- এমনটাই মনে করছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ২০১৬-র মতো এবারও বাম-কংগ্রেস জোট হবে। তা-ই নয়, এবার সেই জোট আরও বড় আকারে আসছে. অর্থাৎ মহাজোটের রূপ নেবে, বার্তা দিলেন মান্নান।
মান্নানের চিঠিতে নয়া মোড় বাংলার রাজনীতিতে
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা একটি চিঠিতেই বিরোধী দলনেতা বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। কোন দলের কী অবস্থান, কে কী অবস্থায় রয়েছে, তা বিস্তারিত জানানোর পর তিনি লিখেছেন, শীঘ্রই তৃণমূলে ভাঙন আসছে। সেই ফায়দা আমাদের তুলতে হবে। তাহলেই বদলে যাবে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ।
তৃণমূলের অনেকে দল ছাড়ার অপেক্ষায়
মান্নান চিঠি লিখেছেন- তৃণমূল কংগ্রেসের জন সমর্থ কমছে। বাড়ছে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা। এথদিন বিজেপি দাবি করে আসছিল, বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরা তাঁদের দলে যোগ দেবেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ বিধায়ক-মন্ত্রীরা বিজেপিতে না গিয়ে তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন। প্রয়োজনে তাঁরা পৃথক মঞ্চের পক্ষে। এই সুযোগ তাঁরা ইচ্ছা করলে কাজে লাগাতে পারে। এবং বঙ্গ রাজনীতিতে ফের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে।
তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরাও একই কথা ভাবছে!
মান্নানের কথায় আমরা যা ভাবছি, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা সেই একই সমীকরণের কথা ভাবছেন। তারা নিজেদের একটা দল থাকলে নিজেদের মতো করে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। বাম-কংগ্রেসও চাইছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে জোট করে একটা বিকল্প রাস্তা বের করতে। যদি রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট হয়, তবে ওই মঞ্চের সঙ্গে সমঝোতা করা যেতে পারে।
বিকল্প মঞ্চ হলে মহাজোটের প্রস্তাব
কেননা অনেক নেতা-নেত্রী রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূল ছাড়তে চাইছেন, কিন্তু সঠিক বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁরা কিছুতেই বিজেপিতে যেতে চাইছেন না। তাঁরা চাইছে বিকল্প কোনও শক্তি। কিন্তু বাংলায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে তাঁদের দলে যোগ দেওয়া না দেওয়া সমান। এই অবস্থায় বিকল্প মঞ্চ করে মহাজোট গড়ে তোলার একটা ভাবনা এখন থেকেই কাজ করছে। আর তা হলেই বাম-কংগ্রেসের পোয়াবারো।
মমতাকে জবাব দিতে বিন্দুতে বিন্দুতে বদলার ডাক! অনুব্রতের সঙ্গে পার্থক্য বোঝালেন সায়ন্তন