ফের সিপিএমের ‘ঐতিহাসিক ভুল’! আরও কাছাকাছি কংগ্রেস-তৃণমূল
আরও একবার ঐতিহাসিক ভুল করে বসল সিপিএম। জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পর সীতারাম ইয়েচুরির পথ আটকেও সিপিএম ভুল পদক্ষেপ নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় প্রার্থী হতে সীতারাম ইয়েচুরিকে অনুমোদন দিল না কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে প্রকাশ কারাতরা রাজ্যসভায় সীতারাম ইয়েচুরির নাম খারিজ করে ফের সুগম করে দিল মীরা কুমারের পথ। আর মীরা-'ভজনা'র পথেই ফের কাছাকাছি আসার সুযোগ পেয়ে গেল কংগ্রেস ও তৃণমূল।
[আরও পড়ুন : রাজ্যসভার প্রার্থী মীরা কুমার! প্রদেশ কংগ্রেসের প্রস্তাবে কথা সোনিয়া-মমতার]
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ভোটাভুটি করেই স্থির হয় সীতারাম ইয়েচুরির ভাগ্য। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের রাজ্যসভার পথ বন্ধ করে দেন কারাতরা। প্রকাশ কারাত শিবিরের যুক্তি ছিল, কখনই কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে রাজ্যসভায় যাওয়ার কোনও অর্থ হয় না। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও একবার ঐতিহাসিক ভুল করে বসল সিপিএম। জ্যোতি বসু, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পর সীতারাম ইয়েচুরির পথ আটকেও সিপিএম ভুল পদক্ষেপ নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেস অপেক্ষা করেছিল সিপিএমের বার্তার জন্য। রাহুল গান্ধী নিজে সুবক্তা সীতারাম ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় চেয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি অপেক্ষা করেছিলেন এতদিন। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। তারই মধ্যে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ইয়েচুরির নাম খারিজ করে দেয়।
এর আগে সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে মীরা কুমারকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার প্রস্তাব দেন। রাহুল গান্ধী এই প্রস্তাব ভেবে দেখার কথাও জানান তখন। তারপরই তিনি জানান, সিপিএমের জন্য আর একদিন অপেক্ষা করে রাজ্যসভার প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলবে কংগ্রেস।
এখন সিপিএম তাঁদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ায়, মীরা কুমারকে প্রার্থী করতে কোনও অসুবিধাই রইল না কংগ্রেসের। ফলে সিপিএম হাত গুটিয়ে নেওয়ায় কংগ্রেসের পক্ষে তৃণমূলের হাত ধরতেও কোনও বাধা রইল না। এমনিতেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও তৃণমূলের একসঙ্গে চলা শুরু হয়েছে। ২০১৯-এর লক্ষ্যে দিল্লির রাজনীতিতে দুই দল একসঙ্গে চলতেও চাইছে।
মীরা কুমারকে প্রার্থী করলে তৃণমূলেরও যে কোনও সমস্যা নেই, তা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই দিল্লিতে মীরা কুমার কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভায় প্রার্থী হলে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন তিনি। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়েছে তাঁর। ২০১৯-এর লক্ষ্যে দু-দলের মধুচন্দ্রিমা ফের শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছে এখন থেকেই।