জেলবন্দি নেতার হাতে অ্যান্ড্রয়েড ফোন, কানে ব্লুটুথ হেডফোন! নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন মৃত তৃণমূল নেতার দাদার
কোনও সংশোধনাগারে নয়, তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা (trinamool congress) কুরবান শাহ (kurban shah) হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনিসুর রহমান (anisur rahman)। সেখানে যে তিনি বহাল তবিয়তেই রয়েছেন, তা
কোনও সংশোধনাগারে নয়, তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা (trinamool congress) কুরবান শাহ (kurban shah) হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনিসুর রহমান (anisur rahman)। সেখানে যে তিনি বহাল তবিয়তেই রয়েছেন, তা প্রকাশিত হয়েছে একাধিক ভিডিও এবং ছবিতে। তবে তার সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া। মৃত তৃণমূল নেতার দাদা অবশ্য এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কুরবান শাহ হত্যা মামলায় ধৃত সবাইকে ছয়মাস আগে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে তমলুক উপ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেই সময় থেকে খুব বেশি সময় সংশোধনাগারে কাটাতে হয়নি আনিসুর রহমানকে। কেননা তমলুকে আসার পর থেকেই তার স্থান হয়েছে তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে।
সাম্প্রতিক সময়ে আনিসুর রহমানের তমলুক জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলের একাধিক ভিডিও সামনে আসার পর থেকে হই-চই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সোফার পাশে চেয়ারে বসে, আনিসুর রহমান অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করছেন, কানে তার ব্লুটুথ হেডফোন। কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঠোঁটের কোনে সিগারেট। এব্যাপারে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ছবি ও ভিডিও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে মৃত তৃণমূল নেতা কুরবার শাহের দাদা আফজল শাহ। তাঁর প্রশ্ন একজন জেলবন্দি কীভাবে এইসব জিনিস ব্যবহার করেন। কেন হাসপাতালে আনিসুরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুরবান শাহের দাদা। তিনি বলেছেন, অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে বিশেষ সুবিধা নেওয়া আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তাঁরা। আদালত আনিসুর রহমানকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও আনিসুরকে তমলুক জেলা হাসপাতালেই রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কুরবারন শাহের দাদার আরও অভিযোগ করেছেন, এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাঁদের পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।