অধিকারী-গড়ে ফের মুকুলের থাবা, তৃণমূল ভেঙে সংখ্যালঘু নেতা বিজেপিতে
বিজেপির ভরা সভায় পাঁশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান যোগ দিলেন বিজেপিতে। আনিসুর মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সবং বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে জোর ধাক্কা দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেইমতো পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এ নির্বাচনের আগে বড়সড় সাফল্য এনে দিলেন তিনি। বিজেপির ভরা সভায় পাঁশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান যোগ দিলেন বিজেপিতে। আনিসুর মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর যোগদানে সংখ্যালঘু ভোট বিজেপির দিকে ঢলবে বলেই বিশ্বাস করছে রাজনৈতিক মহল।
শনিবার সবং বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্যের সমর্থন সবংয়ে এক জনসভায় মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব আনিসুরের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, সুরেশ পূজারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রমুখ।
সবং-এ নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের হাত ধরে এক সংখ্যালঘু নেতাকে দলে পেয়ে খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী ২১ ডিসেম্বর সবং বিধানসভার উপনির্বাচন। তার আগে আনিসুরের তৃণমূল ত্যাগ তৃণমূলের কাছে বড়সড় আঘাত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আনিসুর রহমান মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন বরাবর। এবারই পাঁশকুড়া পুরসভা নির্বাচনের পর দলের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন। ভোটাভুটিতে তিনি হারিয়ে দেন দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে ছ-বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেন।
কিন্তু বহিষ্কারের পরই দলের ব্যানারে মিছিল করে আনিসুর রহমান জানিয়ে দেন, তিনি তৃণমূলেরই সৈনিক। তিনি জানিয়েছিলেন, পার্টির তরফে কোনও কাগজ তিনি হাতে পাননি। তাই নিজেকে দলের একজন বলেই মনে করছেন। এছাড়া বলেছিলেন, 'নেত্রী যদি বলেন আমি সঙ্গে সঙ্গে পার্টি ছেড়ে চলে যাব।' এ প্রসঙ্গে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে তিনি তোপ দাগেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি সাপেক্ষেই তিনি পথে নেমেছেন বলেও দাবি করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি স্বেচ্ছায় চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। তাঁর জায়গায় পার্টির মনোনীত নন্দ মিশ্র চেয়ারম্যান হন।
সেই আনিসুর রহমান আবার ভোলবদলে মুকুল রায়ের শিবিরে চলে এলেন। এবং শেষমেশ বিজেপির সভায় গিয়ে নাম লেখান পদ্মশিবিরে। তাঁর দলবদলের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এই তো শুরু। এখনও কত লোক পা বাড়িয়ে রয়েছে। অপেক্ষা করুন, তাঁরাও আসবেন বিজেপিতে। আগামী দিনেই দেখতে পাবেন তৃণমূলের ভঙ্গুর দশা।