নারী সুরক্ষার প্রচারে বেরনো অন্ধ্রের মেয়ে পৌঁছলেন কোচবিহারে
নারী সুরক্ষার প্রচারে বেরনো অন্ধ্রের মেয়ে পৌঁছলেন কোচবিহারে
'ভারতবর্ষকে নারীদের জন্য সুরক্ষিত করা'-র বার্তাকে সামনে রেখেই নারী সুরক্ষা ও সচেতনতাকে লক্ষ্য রেখে তিন বছর আগে অন্ধপ্রদেশের গোদাবরী জেলার জ্যোতি রঙ্গনা সাইকেলে করে বিনা অর্থে দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন।
তিনি কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করতেন হায়দরাবাদে। পিতা পেশায় অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস অফিসার। ভাই বোন নিয়ে সুন্দর দিন যাপন করছিলেন। হঠাৎ করেই ২০১৭ সালে নারী সুরক্ষার কথা মাথায় আসতেই এই অভিনব উদ্যোগ নিজেকে ব্রাত্য করেন তিনি।
ইতিমধ্যে প্রায় ১৮ হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে অতিক্রম করে গতকাল রাতে কোচবিহার শহরে এসে পৌছল। নিউ কোচবিহারের দিপ্তেশ বাবুর বাড়িতে রাত্রিযাপন করে বৃহস্পতিবার সিকিমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ভারতবর্ষের রাস্তাঘাট নারীদের জন্য সুরক্ষিত এই বার্তা সমাজকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তার এই সাইকেলে সারা দেশ ভ্রমণ। প্রায় ৩৩ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন এই সাইকেল চালিয়ে। সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছেন পরিধানের বস্ত্র।
যেখানে রাত হচ্ছে সেখানে কখনো কারো বাড়িতে কখনও বা মন্দির গির্জা মসজিদে রাত যাপন করছেন। তারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক চন্দন দাস তাকে সংবর্ধনা যাপন করেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার হাতে পুষ্পস্তবক এবং সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফের স্টিকার তুলে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে ডিএসপি চন্দন দাস বলেন জ্যোতি রঙ্গনার এই উদ্যোগ এককথায় অকল্পনীয়। কোচবিহার জেলা পুলিশ তাকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা যাপন করেছে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন সুস্থ-সবল ভাবে গাড়ি বা সাইকেল চালিয়ে সারা ভারতবর্ষ ভ্রমণ করা সম্ভব এইবার তার জন্য কোচবিহার পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে সাধুবাদ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার প্রচুর মানুষ রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়ে তার যাত্রার জন্য শুভকামনা জানায়।