ফের চালু হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডের জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া আমরি হাসপাতাল
মঙ্গলবার স্বাস্থদফতরের কাছ থেকে এবিষয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়েছে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ। তবে মুখ্য ভবন ও অ্যানেক্স-২ এ আপাতত আউটডোর পরিষেবা ও শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষাই চালু হবে। হাসপাতালে রোগী ভর্তি অথবা অস্ত্রোপচার পদ্ধতির জন্য নতুন করে লাইসেন্স নিতে হবে। কিন্তু যে অংশে অর্থাৎ অ্যানেক্স-১ এ ওই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই অংশটি খোলার অনুমতি এখনও দেয়নি স্বাস্থ্যদফতর।
ডিসেম্বরেই খুলতে পারে আমরি হাসপাতাল
ছাড়পত্র মিললেও হাসপাতাল চালুর দিন এখনও ঠিক করা হয়নি। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা আমরিকে ফের নতুন করে চালুর চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের আশা আগামী মাসের গোড়ার দিককেই চালু করা যাবে সীমিত কিছু পরিষেবা।
আউটডোর পরিষেবা চালু হলেও তাতেও কিছু সীমাবদ্ধতা থাকছে। হাসপাতলসূত্রের খবর আগে যেখানে ৫২টি আউটডোর চলত এখন সেখানে আপাতত গাইনোলজি, জেনারেল মেডিসিন,নিউরোলজি-সহ মোট ১৮টি আউটডোর চলবে।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর আগুন লাগে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অ্যানেক্স-১ ভবনে। মৃত্যু হয় ৯৩ জনের, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমরি-র মুখ্য ভবন ও অ্যানেক্স-২ ভবনের ছাড়পত্র সাময়িক ভাবে বাতিল করে সেগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুড়ে যাওয়া অ্যানেক্স-১ ভবনের লাইসেন্স স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা হয়েছিল।
হাসপাতালের যে দুটি ভবনের জন্য ছাড়পত্র মিলেছে, তাতেও অনেকরকম সংযোজন ও পরিবর্তন করা হয়েছে। ভবনের দুটি তলা ব্যবহার করা হবে। শুরুতে ন্যূনতম মূল্যের বিনিময়ে সকালে আউটডোর বা ফ্রি ক্লিনিক পরিষেবার চালু হবে রোগীদের জন্য। শুধু সন্ধ্যাবেলায় পে-ক্লিনিক চালু থাকবে।
পুরনো ভবনের চিকিৎসার জন্য যে পরিমান জায়গা ব্যবহৃত হত তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০ শয্যা থেকে কমিয়ে ১৫২টি শয্যা করা হয়েছে। অ্যানেক্স-১ এ ৪৫টি শয্যা রাখা হয়েছে। কিন্তু পুনর্নবীকরণের লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত এগুলি চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।