বঙ্গ বিজেপিকে পথ দেখাতে কবে আসবেন শাহ, ফের অনিশ্চিত সফর ঘিরে জল্পনা
বঙ্গ বিজেপিকে পথ দেখাতে কবে আসবেন শাহ, ফের অনিশ্চিত সফর ঘিরে জল্পনা
একুশের নির্বাচনের পর অমিত শাহ আর বাংলায় আসেননি। রাজ্য বিজেপিতে যখন চূড়ান্ত ডামাডোল শুরু হয়েছে, তখন অমিত শাহের আগমন বার্তা পেয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিজেপি। কিন্তু অমিত শাহের সেই সফর ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। ১৬ বা ১৭ এপ্রিল তাঁর বাংলা সফরের সূচি পিছিয়ে যেতে পারে। কী কারণে সফর বাতিল হতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অমিত শাহ বাংলায় আসেননি প্রায় এক বছর হতে চলল। গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসার কথা ছিল কলকাতা ও শিলিগুড়িতে। সেবার বাতিল হয়ে যায় অমিত শাহের বাংলা সফর। ফের এপ্রিলে তাঁর বঙ্গ সফরে আসা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু তাও পিছিয়ে যেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অমিত শাহের সফর নির্ধারিত ছিল ১৬ বা ১৭ এপ্রিল। তিনি প্রথমে কলকাতায় আসবেন। তারপর সেখান থেকে তিনি পাড়ি দেবেন শিলিগুড়ি। একদিন কলকাতায় থেকে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা ছিল। তারপর উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে সরকারি কর্মসূচিতে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা ছিল অমিত শাহের।
অমিত শাহের সফর নিয়ে এখনও বঙ্গ বিজেপির কাছে কোনও সূচি আসেনি বলে দাবি। তবে সরকারি অনুষ্ঠানের কর্তারা অমিত শাহের সফর বাতিল হচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে তাঁরা অনুষ্ঠান পিছিয়ে দিচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে সরকারি তরফে জানানো হয়নি কী কারণে সফল বাতিল হচ্ছে।
এসএসসি বিতর্কে পার্থদাকে নিয়ে নিজের মন্তব্যে অনড়! নাম না করে ফিরহাদকে বিঁধলেন কুণাল ঘোষ
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, অমিতজির কলকাতা ও শিলিগুড়িতে দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা আমি জানি। বাকি কোথায় কী কর্মসূচি রয়েছে আমার জানা নেই। বঙ্গ বিজেপির কাছে এখন পর্যন্ত খবর ১৬ বা ১৭ এপ্রিল তিনি বাংলায় আসতে পারেন। তবে একটি কারণ উঠে আসছে অমিত শাহের না আসার পিছনে। তা হল অমিত শাহের সফর শুরুর দিনেই উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। সেই কারণে অমিত শাহ তাঁর সফর কদিন পিছিয়ে শুরু করতে পারেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে ঘর-ঘাট বানিয়ে ফেলেছিলেন অমিত শাহ। ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোটে তিনি শেষবার এসেছিলেন বাংলায়। বাকি দুই দফায় আর আসেননি। সেই নিরিখে ৩৫০ দিন পার হয়ে গিয়েছে অমিত শাহ বাংলায় আসেননি। এবার সফর বাতিল হলে এক বছর অতিক্রম করে যাবে তাঁর বাংলার মাটিতে শেষবার পা রাখার সময়সীমা।