বিজেপি-নজরে পঞ্চায়েত, অমিত শাহ-সহ ২০ কেন্দ্রীয় নেতা ঘাঁটি গাড়ছেন বাংলায়
বিজেপি-র নজরে বাংলা। আরও স্পষ্ট করে বললে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছে গেরুয়া শিবির।
কলকাতা, ১ এপ্রিল : বিজেপি-র নজরে বাংলা। আরও স্পষ্ট করে বললে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই পাখির চোখ করছে গেরুয়া শিবির। দেরি না করে, এখন থেকেই ঘর গুছোতে শুরু করেও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি। মোদীর নির্দেশে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। সাতদিন বাংলায় থেকে তিনি রাজ্য বিজেপিকে ঢেলে সাজাবেন। সেইসঙ্গে আরও ২০ কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীকে এবার বাংলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজেপি-র পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে এপ্রিল মাসেই রাজ্যে ঘাঁটি গাড়ছেন অমিত শাহ। শুধু প্রকাশ্য সমাবেশই নয়, তিনি জেলাওয়াড়ি বৈঠক করবেন। এমনকী বুথ স্তরের নেতানেত্রীদেরও নির্দেশ দেবেন কোন পথে যুদ্ধজয় সম্ভব আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে। প্রত্যেক জেলায় ঘুরে সেখানকার রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিবুঝেই তিনি দলের চলার পথ নির্ধারণ করবেন।
বঙ্গ বিজেপি চাইছে অন্তত দু'টি প্রকাশ্য জনসভা করুন অমিত শাহ। কিন্তু তিনি আদৌ কোনও প্রকাশ্য সমাবেশ করবেন কি না, তা স্পষ্ট হয়নি। তবে অমিত শাহও গুরুত্ব দিতে চাইছেন জেলাস্তরের বৈঠককেই। সেক্ষেত্রে বিজেপি-র অন্য কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীদের দিয়ে জনসভা করানো হতে পারে। বিজেপি এ ব্যাপারে একটি তালিকাও ইতিমধ্যে স্থির করে ফেলেছে।
সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং থেকে শুরু করে স্মৃতি ইরানি, পুনম মহাজনের মতো হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর নাম রয়েছে সেই তালিকায়। যাইহোক বিজেপি কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না পঞ্চায়েত ভোট-যুদ্ধে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করতে।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রকাশ্য সমাবেশ, জেলাওয়াড়ি বৈঠক, বুথভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনেও জোর দেওয়া হচ্ছে। কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে সারদা, নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল হবে। দলের বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করে সাংগঠনিকভাবে ভাবে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। তারই পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে বার্তা দিতে প্রকাশ্য সমাবেশ হোক চাইছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব।
নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে ভাবছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর পাখির চোখ ২০১৯ লোকসভা। ২০১১৮-র পঞ্চায়েতকে তিনি সেমিফাইনাল ভাবছেন। সেইভাবেই সাজাতে চাইছেন ভোট যুদ্ধের সৈনিকদের। তাই পশ্চিমবঙ্গের দলীয় সংগঠন কোথায় কতটা শক্তিশালী, তা জানতেই সাতদিন রাজ্যে থেকে বুঝে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহকে।
কিন্তু সাতদিনে কি সবক'টি জেলায় সফর করা অমিত শাহের পক্ষে সম্ভব? সেরকম সাড়া পেলে তিনি দ্বিতীয় দফাতেও ফের দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাকে সময় দিতে পারেন। কাজে লাগাতে পারেন ২০ কেন্দ্রীয় নেতাকে।