নজরে একুশের ভোট! মাসের শেষে ফের রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ
পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। যে কোনও মূল্যে নির্বাচনে জেতার পরিকল্পনা বিজেপি (bjp)। দায়িত্বে স্বয়ং অমিত শাহ (amit shah)। ৪ নভেম্বর সাংগঠনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন রাজ্যে। সূত্রের খবর অনুযায়
পাখির চোখ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। যে কোনও মূল্যে নির্বাচনে জেতার পরিকল্পনা বিজেপি (bjp)। দায়িত্বে স্বয়ং অমিত শাহ (amit shah)। ৪ নভেম্বর সাংগঠনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন রাজ্যে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এমাসের একেবারে শেষের দিকে তিনি ফের একবার রাজ্যে আসতে পারেন।
টার্গেট ২০২১-এ বাংলার ক্ষমতা দখল! আলাদা দল গঠন করে অমিত শাহের ৫ 'স্পেশাল' নেতাকে দায়িত্ব
৫ কেন্দ্রীয় নেতা জমা দেবেন রিপোর্ট
বিজেপির তরফে রাজ্যে দলের পাঁচটি জোনের দায়িত্ব পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর, রাঢ়বঙ্গ, উত্তরবঙ্গ, কলকাতা এবং নবদ্বীপ জোনের এই পাঁচ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা হলেন যথাক্রমে সুনীল দেওধর, বিনোদ সোনকর, হরিশ দ্বিবেদী, দুষ্মন্ত গৌতম এবং বিনোদ তাউড়ে। এই পাঁচ নেতা, জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সংগঠন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তারপর তা জমা দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। এই পাঁচ নেতা অমিত শাহের খুব কাছের বলেই খবর।
রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ
এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। সেক্ষেত্রে ৩০ নভেম্বর তিনি রাজ্যে আসতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ভোটের আগে অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে আনাগোনা আরও বাড়বে বলেই আভাস দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে।
রাজ্যে তৎপরতা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
ইতিমধ্যেই রাজ্যে তৎপরতা বাড়িয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ৫ ও ৬ নভেম্বর কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বিএল সন্তোষ। এর ঠিক ১৩ দিনের মাথায় ফের দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন বৈঠক করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাতে হাজির ছিলেন দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারাও।
আইটি ও মিডিয়া সেলের প্রধানকেও রাজ্যে দায়িত্ব
একদিকে যেমন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননকে রাজ্যে দলের সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। ঠিক তেমনই সহ পর্যবেক্ষক করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে আইটি ও মিডিয়া সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে। সোমবার রাতে বিমানবন্দরে নেমেই তিনি জানিয়েছেন, পিসির সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও অরাজকতা দূর করতে বিজেপি বাংলায় ২০০-র বেশি আসনে জয় পাবে।
সৌগত রায়ের কটাক্ষ
বিজেপির তরফে দলের পাঁচ জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচ সর্বভারতীয় নেতাকে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এদিন তিনি বলেন, বিজেপির বঙ্গের নেতারা অপদার্থ। সেই কারণে বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে না জানা নেতাদের রাজ্যে আনতে হচ্ছে। যদিও এই মন্তব্য করার সময় তিনি খেয়াল করেননি, তাঁদের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর এই বঙ্গের নন। এছাড়াও প্রশান্ত কিশোরের সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তে উত্তরে কোচবিহার থেকে দক্ষিণে কাকদ্বীপ পর্যন্ত তৃণমূলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।