শুধু নাড্ডাই নন, নভেম্বরের রাজ্য সফরের সম্ভাবনা অমিত শাহেরও! দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনা
নভেম্বরের রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ৬ নভেম্বর তিনি কলকাতায় আসছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন সভাপতি প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও(Amit Shah) রাজ্যে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মূলত বিজেপি কর্মীরাই তাঁকে চাইছেন। পুজোর আগে তাঁর শিলিগুড়িতে আসার খবর থাকলেও, পরে জানা যায় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তিনি আসতে পারছেন না।

জেপি নাড্ডা রাজ্যে আসছেন ৬ নভেম্বর
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্যে আসছেন ৬ নভেম্বর। তিনি দিল্লি ফিরবেন ৭ নভেম্বর। এই দুদিনে তিনি দুটি বৈঠক করবেন। একটি বৈঠক হবে মেদিনীপুরে, অপরটি হবে বর্ধমানে। মেদিনীপুরে হওয়া বৈঠকে যেসব সাংগঠনিক জেলার নেতারা থাকবেন, তা হল দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি ও হাওড়া। অন্যদিকে বর্ধমানে হওয়া বৈঠকে যে সব জেলার নেতারা থাকবেন, তা হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং আসানসোল।

নভেম্বরে রাজ্য আসতে পারেন অমিত শাহ
শুধু জেপি নাড্ডা নন, অমিত শাহকে দিয়ে রাজ্যে সভা করাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বারে কাছে আবেদন জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। নভেম্বরেই অমিত শাহ রাজ্যে আসতে পারেন বলে ইঙ্গিত করেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তবে তার দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।

চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি
একদিকে একের পর কর্মী হত্যা। অক্টোবরেই তাঁদের তিন নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এদিন দিল্লিতে রাজ্যপালের কথায় তারই প্রতিধ্বনী শোনা গিয়েছে। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর অভিযোগ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাজ্য এখন বোমা তৈরির কারখানা। ঘুমিয়ে রয়েছে সর্বোচ্চ প্রশাসন। অফিসাররা রাজনৈতিক কর্মীর মতো আচরণ করছে।

মার্চের পর প্রথমবার রাজ্যে
অমিত শাহ গত ১ মার্চ সিএএ-র সমর্থনে শহিদ মিনারে সভা করেছিলেন । সেদিক থেকে ধরতে গেলে যদি তিনি নভেম্বরে রাজ্যে আসেন, সেটি হবে মার্চের পর প্রথমবার। এর আগে অমিত শাহ বলেছিলেন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি রাজ্যের জন্য সময় দেবেন। অমিত শাহ রাজ্যে আসতে না পারলেও ৯ জুন পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভার্চুয়াল সভা করেছিলেন।

বাংলার পরিস্থিতি উদ্বেগের
অমিত শাহ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে কোনও মন্তব্য। করতে না চাইলেও, তিনি বলেছিলেন, বাংলার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের। রাজ্যের রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের মতো তিনিও রাজ্যে বোমা তৈরির কারখানার অভিযোগ করেছিলেন।
শ্রীনগরে সিল পিডিপি অফিস, মেহবুবা মুফতিকে ঘিরে কাশ্মীরের রাজনৈতিক পারদ চড়ছে তুঙ্গে