পাখির চোখ ২০২১, মমতার বাংলা দখলের লক্ষ্যে ছাত্রের 'ভূমিকা' নিয়েছেন বিজেপির ‘চাণক্য’
বাংলা দখলই বিজেপির পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যপূরণে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আর কারও উপর ভরসা করতে পারছেন না। ২০২১-এর বিধানসভা আরক দেড় বছরও বাকি নেই।
২০২১ সালে বাংলা দখলই বিজেপির পাখির চোখ। সেই লক্ষ্যপূরণে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ আর কারও উপর ভরসা করতে পারছেন না। ২০২১-এর বিধানসভা আর দেড় বছরও বাকি নেই। তাই তিনি এখন থেকেই বাংলা শিখতে শুরু করেছেন। বাংলা শিখেই তিনি ২০২১-এ বাংলা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপাবেন।
বাংলা শিখছেন অমিত শাহ
লোকসভায় সাফল্য এসেছে ঠিকই, কিন্তু ২০২১-এ বাংলার দখলের যুদ্ধ আরও কঠিন। সেই যুদ্ধে তিনি নিজেই কাণ্ডারি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী কৌশল তিনিই তৈরি করবেন। কিন্তু সেই কৌশল রচনা করতে গিয়ে ভাষাগত সমস্যা যাতে তৈরি না হয় সে জন্য তিনি বাংলা শেখার ব্যবস্থা করেছেন।
বাংলা শেখার জন্য শিক্ষক নিযু্ক্ত
ইতিমধ্যেই বাংলা শেখার জন্য শিক্ষক নিযু্ক্ত করেছেন অমিত শাহ। রীতিমতো বাংলা শিখে তিনি বাংলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের অবসান ঘটাতে চাইছেন। তিনি আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। এ বছরই পুরসভা ভোট। মানে অর্ধেক বাংলায় ভোট। এই ভোটকে মিনি বিধানসভা আখ্যা দিয়েছেন অনেকেই। এই ভোটেই তাঁর পরীক্ষা।
কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অমিতের বাংলা শিক্ষা
পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিটির মাথায় রাখা হয়েছিল মুকুল রায়কে। তাঁকে নির্বাচন কমিটির মাথায় রেখে ও দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলায় ভোটে লড়েছিল বিজেপি। আশাতীত সাফল্যও পেয়েছিল তারা। তারপর অবশ্য উপনির্বাচনে ধাক্কা খেতে হয় বিজেপিকে। সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অমিত শাহ বাংলা শিখতে শুরু করেছেন।
বাংলা ও তামিল সহ চারটি ভিন্ন ভাষা শিখছেন অমিত
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে ব্যর্থ হয়েছে অ্মিত শাহের স্ট্র্যাটেজি। এরপরে তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেছেন। তাই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আরও ভাল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিনি ভাষা শিখতে শুরু করেছেন। বঙ্গ বিজেপির এক প্রবীণ নেতার মতে, এতে নতুন কিছু নেই। বিজেপি সভাপতি বাংলা ও তামিল সহ চারটি ভিন্ন ভাষা শিখছেন।
গুজরাটির থেকেও হিন্দিতে সাবলীল
উল্লেখ্য, অমিত শাহ গুজরাটির থেকেও হিন্দিতে সাবলীল ছিলেন। কারণ তিনি কারাগারে থাকাকালীন হিন্দি শিখেছিলেন এবং দু'বছর গুজরাটে প্রবেশ নিষেধ ছিল তার। তাই হিন্দিতেই তাকে কথা বলতে হত। খুব কম লোকই জানেন যে শাহ শাস্ত্রীয় সংগীতও শিখেছেন এবং অবসর সময়ে তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অনুশীলনও করেন।
অমিতের পাল্টা মমতার বাংলার গর্ব
এর পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার গর্বকে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। অমিতের বাংলা শিক্ষণের মোকাবিলায় মমতার অস্ত্র বাংলার গর্ব। তাই মা-মাটি-মানুষের সরকারে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসছে বাংলার গর্বের কথা। তিনি অমিত শাহকে বহিরাগত বলে অভিহিত করেছেন বাংলা। তাঁর কথায়, যতই বাংলা শিখুন বাংলায় আপনি বহিরাগতই।