পঞ্চায়েতে বিজেপির টার্গেট অনুব্রত, দিলীপদের ভোকাল টনিক দিতে আসছেন অমিত
ত্রিপুরায় প্রচার-পর্ব শেষ হচ্ছে শুক্রবার। এরই মধ্যে পরবর্তী লক্ষ্যে স্থির করে ফেলল বিজেপি। বিজেপি বুঝিয়ে দিল এবার তাঁদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম।
ত্রিপুরায় প্রচার-পর্ব শেষ হচ্ছে শুক্রবার। এরই মধ্যে পরবর্তী লক্ষ্যে স্থির করে ফেলল বিজেপি। বিজেপি বুঝিয়ে দিল এবার তাঁদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম। সেই লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের বার্তা দিতে রাজ্যে আসছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি রাজ্যে দুটি জনসভা করতে পারেন। একটি উত্তরবঙ্গে ও অন্যটি দক্ষিণবঙ্গে হবে বলে স্থির করেছে বিজেপি।
ইতিমধ্যে বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অযথা দেরি না করে রাজ্যের পঞ্চায়েতের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিতে। কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপিকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা স্থির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই সেই তালিকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। একইভাবে রাজ্যে এসে সর্বভারতীয় সভাপতি ভোট-পরিকল্পনায় কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি।
অমিত শাহের সভার জন্য উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি আর দক্ষিণবঙ্গের বীরভূমকে বেছে নিয়েছে রাজ্যে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমকে প্রথম থেকেই টার্গেট করেছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে অমিত শাহের সভার জন্যও এই জেলাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। মুকুল রায়-লকেট চট্টোপাধ্যায়রা এই জেলায় ঘাঁটি গেড়ে পড়ে রয়েছেন। তারপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে সভা করে অনুব্রত-র জেলায় থাবা বসাতে চাইছে বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র জেলা সফরে বেরিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের মোড়কে পঞ্চায়েতের প্রচার ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি চায় না প্রথম থেকেই পিছিয়ে পড়তে। এখনও পঞ্চায়েত ভোটের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, সম্ভাব্য মে-জুন মাসের লক্ষ্যমাত্রা রেখে বিজেপিও ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে।
তার আগে বিজেপি সভাপতি রাজ্যে এসে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে, জেলা পর্যবেক্ষক, মণ্ডল সভাপতিদের পঞ্চায়েত বার্তা দেবেন। ইতিমধ্যেই সমস্ত বুথে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটকে লোকসভার আগে শক্তি পরীক্ষার জন্যই মূলত বেছে নিতে চাইছে বিজেপি। সেই কারণেই সবার আগে সব বুথে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চাইছেন তাঁরা।