বিজেপির 'মিশন বেঙ্গল'! অমিত শাহের দেওয়া বড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ফিরছেন মুকুল রায়
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার ২০২১-এর দিকে লক্ষ্য রেখে, তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার ২০২১-এর দিকে লক্ষ্য রেখে, তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে অমিত শাহের।
২০২১-এর লক্ষ্যে রণকৌশল বৈঠক মমতার! সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের সম্ভাবনা
ভার্চুয়াল সভা থেকে মমতার আক্রমণ
২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন আগামী বছরের ২১ জুলাইয়ের সভা হবে ঐতিহাসিক। যার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলেছিলেন তিনি। প্রস্তুতি নেওয়া বলতে আগে তৃণমূলকে জেতানো। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন তৃণমূল রাজ্যে থাকলে বিনা পয়সায় রেশন পাওয়া যাবে। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন বাইরে থেকে এসে বাংলা শাসন করা যাবে না।
বিজেপির পাল্টা বার্তা
যদিও সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা বার্তা দেয় বিজেপি। রেশন প্রসঙ্গে তারা বলে, ভিক্ষা নয় কর্মসংস্থান চাই। আর বহিরাগত উত্তরে মুকুল রায় বলেছিলেন বাংলা থেকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
মুকুল যুগের শুরু হতে যাচ্ছে বিজেপিতে
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূল স্লোগান দিয়েছিল ৪২-এ ৪২। কিন্তু মুকুল রায় বলেছিলেন বিজেপি অন্তন ২২ টি আসন পাবে। এই সংখ্যার থেকে ৪ টি আসন কম পায় বিজেপি। ২০২১-এর লড়াইতেও সরকমই কিছু মুকুল রায়ের থেকে আশা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে একবার তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দিলেই বিজেপিতে কার্যত মুকুল যুগের শুরু হয়ে যাবে।
তৃণমূলের ঘরের খবর জানেন মুকুল
বিজেপির অনেক নেতা রাস্তায় নামলেও মুকুল রায়কে সেভাবে দেখা যায় না। তখনই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ মুকুল রায়। যদিও নিজেকে আড়ালে রেখেই লড়াই পছন্দ করেন মুকুল রায়। যা অস্বীকার করেন না তৃণমূলের পুরনো নেতারা। যেভাবে তিনি ২০১১-র আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে লড়াই চালিয়েছিলেন। তিনি যে সব থেকে বেশি তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর রাখেন, তা একবাক্যে স্বীকার করেন তৃণমূলের অনেক নেতাই।
দিল্লি থেকে ফিরেই বিজেপির মিশন বেঙ্গলের কাজ শুরু মুকুলের
অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের তলবে কার্যত সবার আগে মঙ্গলবার দিল্লি গিয়েছেন মুকুল রায়। ইতিমধ্যে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছেন অমিত শাহ। আর জুলাইয়ের শেষে কিংবা অগাস্টে দিল্লি থেকে ফিরে কাজ শুরু করে দেবেন মুকুল রায়। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুকুল রায়কে দেওয়া হতে পারে বড় দায়িত্ব
মিশন বেঙ্গলের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মুকুল রায়কে আর কোনও বড় দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। তাঁকে যেমন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য করার কথা শোনা যাচ্ছে, অন্যদিকে, নির্বাচন কমিটির প্রধানের পদও তাঁকে দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।