একুশে বাংলার ‘কুরুক্ষেত্র’! মমতাকে মাত দিতে ২৩ দফা কৌশল বিজেপির ‘চাণক্যে’র
একুশে বাংলার ‘কুরুক্ষেত্র’! মমতাকে মাত দিতে ২৩ দফা কৌশল বিজেপির ‘চাণক্যে’র
বিহার জয়ের পর বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। খোদ অমিত শাহ বাংলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছেন। নিজে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলায়। তাঁর কৌশলমতোই বাংলায় পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতাকে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষিত নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে। তবে এখানেই শেষ নয়। বিজেপি ইতিমধ্যে ২৩টি কৌশল নিয়েছে মমতাকে মাত দিতে।
২০০ আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ২৩ কৌশল বিজেপির
বিজেপি এখন পরিকল্পনা নিয়েছে ২০০ আসন জয়ের। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য তাঁরা ২৩টি ফর্মুলা মেনে চলার চেষ্টা করছে। বঙ্গ বিজেপির জন্য এই ২৩টি কৌশল প্রস্তুত করেছেন খোদ অমিত শাহ। তিনি ইতিমধ্যেই তাঁর কেন্দ্রীয় টিমকে সেই কৌশল মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার বঙ্গ-বিজয়ের লক্ষ্যে তাঁর এই বিরাট পরিকল্পনা।
অমিত শাহের ২৩ দফা ফর্মুলা, পাঁচটি বুথের দায়িত্ব
অমিত শাহের ২৩ দফা ফর্মুলা নিয়ে এখন বিস্তর আলোচনা চলছে। এই ফর্মুলায় প্রথমেই নমে অ্যাপ ডাউনলোড করার কথা বলা হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের নমো অ্যাপ ডাউন লোড করতে হবে। তা সুনিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কৌশল হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হবে। মোর্চার পদাধিকারীদের পাঁচটি করে বুথের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
মণ্ডলস্তরে সমস্ত বুথকে চারটি স্তরে ভাগ করে কৌশল
তিন নম্বর কৌশল হল- সদস্য সংগ্রহ করা এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপডেট করা। চার নন্বর কৌশল- আগের দুটি লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের বুথভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা। পাঁচ নম্বর কৌশল হল- মণ্ডলস্তরে সমস্ত বুথকে এ, বি, সি, ডি চারটি স্তরে ভাগ করা। ডি স্তরের দায়িত্ব নেবেন কার্যকর্তারা আর সি স্তরের দায়িত্ব নেবেন পদাধিকারীরা।
প্রতি বুথে ২০ জন নতুন সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা
ছ-নম্বর কৌশল হল- ধাপে ধাপে সংগঠন মজুবত করে ডি স্তরের বুথগুলিকে সি স্তরে, সি স্তরের বুথগুলিকে বি স্তরে এবং বি স্তরের বুথগুলিকে এ স্তরে উন্নীত করতে হবে। সাত নম্বর কৌশল হল- সামাজিক পরিকাঠামো বিবেচনা করে বুথ সমিটি গঠন করা। আর আট নম্বর কৌশল হল প্রতি বুথে ২০ জন নতুন সদস্য নিয়োগ করা। তপশিলি জাতি, উপজাতি ও অনুন্নত শ্রেণির মধ্য থেকে মিসড কলের মাধ্যমে এই সদস্য সংগ্রহ করতে হবে।
বুথে বুথে মোদীর মন কি বাতের আয়োজন বিজেপির
ন-নম্বর কৌশল হল প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পৃথক বৈঠক করা। ১০ নম্বর কৌশল- প্রতিটি কমিটির মধ্যে এমন সদস্য রাখতে হবে, যারা বুথকে সক্রিয় রাখবে। ১১ নম্বর কৌশল, বুথে ৬টি মন কি বাত শোনানোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ১২ নম্বর কৌশল- বুথ সদস্যদের মোবাই নম্বর সংগ্রহ করে রাজ্য দফতরে পাঠাতে হবে।
সদস্য সংগ্রহে জোর, কোথায় কোথায় যেতে হবে কর্মীদের
১৩ নম্বর কৌশল হল- সদা সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা। ১৪ নম্বর কৌশল কৃষি সমবায় থেকে শুরু করে অন্য সরকারি সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং সদস্য তৈরি করা। ১৫ নম্বর কৌশল- স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও সদস্য সংগ্রহ করা। ১৬ নম্বর কৌশল এনজিও-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা।
মঠ-মন্দির-আশ্রম থেকে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ
বিজেপি তাঁদের ১৭ নম্বর কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে এলাকার মঠ-মন্দির, আশ্রমের প্রধান ও পুরোহিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। ১৮ নম্বর কৌশল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন ও সদস্য তৈরি করা। ১৯ নম্বর কৌশল- ভিন্ন রাজনৈতিক দলের বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং সদস্য তৈরি করা।
পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দলীয় পতাকা প্রতিস্থাপনের কৌশল
বুথের যে সমস্ত সদস্য স্মার্টফোন ব্যবহার করে, তার তালিকা তৈরি করা হল ২০ নম্বর কৌশল। আর ২১ নম্বর কৌশল হল বুথের পরিচালনায় পাঁচ কার্যকর্তার তালিকা তৈরি করা। ২২ নম্বর কৌশল হিসেবে উঠে এসেছে- বুথের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দলীয় পতাকা প্রতিস্থাপন করা। আর ২৩ নম্বর কৌশল কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করা।
কংগ্রেস বাঁচাতে নাকি রাহুল গান্ধীকে সিংহাসনে ফেরাতে? সোনিয়ার নয়া কমিটি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে