ক্ষমতায় এলেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র: বললেন অমিত শাহ
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই কার্যকর করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। শুক্রবার কলকাতায় এসে এমনটাই বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ঠিক কবে ও কখন ওই আইন কার্যকর হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তিনি আগেই জানিয়েছি
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই কার্যকর করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
শুক্রবার কলকাতায় এসে এমনটাই বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ঠিক কবে ও কখন ওই আইন কার্যকর হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
তিনি আগেই জানিয়েছিলেন দেশের সব মানুষের টীকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলে এবং অতিমারি শেষ হলে তবেই দেশে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই আইন কার্যকর করবে। যারা শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছে তাদের নাগরিকত্বের অধিকার দিতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র।'
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহ বলেছিলেন, দেশ জুড়ে টীকাকরণ সম্পূর্ণ হলে ও করোনা অতিমারি শেষ হলে কেন্দ্র নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে প্রচার সভায় এসে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এ কথা জানান তিনি।
এই আইন দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিলেন মতুয়ারা। উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া ও বর্ধমানের বড় অংশ জুড়ে বাস করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষ।
এছাড়া মার্চ মাসের বিজেপি এরাজ্যে এর জন্য নির্বাচনী ইসতেহার প্রকাশ করার সময়ও অমিত শাহ বলেছিলেন, ২ মে ক্ষমতায় এলেই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে এ রাজ্যের পাশাপাশি অসমের নির্বাচন হলেও সেখানে এই আইন কার্যকর করার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি বিজেপি। অথচ অসমের এক বড় অংশ জুড়ে বসবাস করেন বাংলাদেশি শরণার্থীরা।
কেন্দ্রের এই বিশেষ আইনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত মুসলিম শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। দেশের যেসব নেতা নেত্রীরা এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেন তাদের মধ্যে অন্যতম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা 'সিআরপিএফ ঘেরাও' মন্তব্য নিয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কলকাতায় এসে আধাসেনার বিরুদ্ধে মমতার করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন শাহ। তাঁর দাবি, এটা তৃণমূলের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। প্রথম ৩ পর্বেই অপ্রত্যাশিত সমর্থন আমরা পেয়েছি। আমাদের সমীক্ষা বলছে, ৬৩ থেকে ৬৮টি আসন আমরা জিতছি। আর তাতেই হতাশ হয়ে এই ধরনের মন্তব্য করছেন মমতা।
অমিত শাহ আরও বলেন যে, আমি দিদিকে মনে করাতে চাই, সিআরপিএফের উপর নিয়ন্ত্রণ ভোটের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে থাকে না। ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন কমিশন। কেউ এই ন্যূনতম বিষয় বুঝতে পারছে না মানেই বুঝতে হবে সে কতটা হতাশ।