বসিয়ে রেখেও বৈঠকে ডাকেনি বিজেপি! অবশেষে মুকুলকে শীর্ষ নেতার ফোন
শনিবার রাতেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। কিন্তু বহু প্রতীক্ষিত সেই বৈঠক হয়নি।
মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে। তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রেখেছে বিজেপি। আশ্বাসের পর আশ্বাস দিলেও তাঁকে এখনও সাদরে গ্রহণ করে নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। কেন এই দ্বিচারিতা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই অপমান গায়ে মেখে মুকুল রায় অপেক্ষা করছেন শুধু উপায় নেই বলেই।
শনিবার রাতেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। কিন্তু বহু প্রতীক্ষিত সেই বৈঠক হয়নি। আর দিল্লির অশোকা রোডের অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁকে। এই ঘটনা অপমানেরই নামান্তর। কিন্তু তবু বিজেপির পথ চেয়ে বসে রয়েছে মুকুল রায়। মুকুল ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক না হলেও, তিনি ফোন করে আশ্বস্ত করেছেন দাদাকে। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যেই তাঁকে বিজেপিতে গ্রহণ করা হবে।
তবে এখন থেকেই মুকুল রায়কে নিয়ে দুটি গোষ্ঠী হয়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। এক পক্ষ চাইছে মুকুল রায়কে দলে নিতে, অন্য পক্ষ মুকুলকে চাইছে না। তা নিয়েই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন ফ্যাসাদে পড়েছে। শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা বিজেপির। এদিকে রাজ্যে সেভাবে সংগঠন বাড়াতে পারেনি বিজেপি। মুখে বললেও রাজ্যে বিজেপি এখনও তৃণমূলকে লড়াই দেওয়ার মতো জায়গায় আসেনি। তাই নতুন একটা মুখ দরকার ছিল।
সেই আঙ্গিকেই মুকুল রায়কে রাজ্যের মাথায় বসানোর পরিকল্পনা ছিল বিজেপির। আর মুকুল রায় চাইছিলেন রাজনৈতিক গুরুত্ব ফিরে পেতে। বিজেপিতে গিয়ে রাজ্যের দায়িত্ব না হলেও, দিল্লির রাজনীতিতেও যদি গুরুত্ব ফিরে পাওয়া যায়, তবে তৃণমূলকে মুতোর জবাব দেওয়া যাবে। আর সারদা-নারদ থেকেও নিরাপদ থাকা যাবে। আপাতত মুকুলের লক্ষ্য এটাই।
শনিবারই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। সঠিক সময়ে ডাকা হয়নি। ফলে তিতিবিরক্ত ছিলেন মুকুল রায়ও। তিনি চাইছেন, বিজেপি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জানিয়ে দিক। এদিকে মুকুল রায়কে নিয়ে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা নানা সময়ে নানা কথা বলছেন। তাঁদের কথাতেই নিত্যনতুন জল্পনা তৈরি হচ্ছে।