মুকুল জট ও পুরসভা ভোটের অঙ্ক কষতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ
নয়াদিল্লি,১৭ মার্চ : সামনেই পুরভোট। আর তার আগেই পশ্চিমবঙ্গে দলের রাজনৈতিক অবস্থান কী হওয়া উচিত, সংগঠনের হাল কী রাজ্যে, এইসব নিয়ে আলোচনা করতে এবার বৈঠক ডাকলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট বাড়তে পারে তৃণমূলের, বলছে সমীক্ষা" />১৮ এপ্রিল কলকাতা পুরভোট, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট বাড়তে পারে তৃণমূলের, বলছে সমীক্ষা
লোকসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে আশা জাগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেহারে চমকপ্রদ কোনও ফল বনগাঁ লোকসভা এবং কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে করতে পারেনি বিজেপি। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীই। কেন আশা জাগিয়েও ভাল ফল করতে পারল না বিজেপি তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন অমিত শাহ।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে পাখির চোখ হলেও কলকাতা পুরসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে অ্যাসিড টেস্ট। কারণ উপনির্বাচনে হেরে তাঁদের দাবি ছিল, তৃণমূলের অপশাসনের প্রভাব আসলে গ্রামাঞ্চলের থেকে শহরাঞ্চলে বেশি পড়েছে। তাই কলকাতা পুরসভায় বিজেপি কী ফল করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।
বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পুরভোটে কোন আসনে কোন প্রার্থীকে দাঁড় করালে বিজেপি সুবিধা পেতে পারে, বা কোন কোন ওয়ার্ডে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপির তা নিয়ে এদিন দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ।
এদিনের বৈঠকের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হতে পারে মুকুল রায়। তৃণমূল তথা নেত্রীর সঙ্গে দুরত্ব বাড়লেও এখনই মুকুল রায়কে বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হবে কি না, সে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে দলের অন্দরে।
বর্তমানে মুকুল রায়ের যা অবস্থান তাতে বিজেপির যে উষ্কানি রয়েছে তা আপাতভাবে মেনে নিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলির একাংশ। তবে এখনই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে না মুকুল রায়ের গলায় কিছু শোনা গিয়েছে। নাতো বিজেপি নেতৃত্ব কিছু স্পষ্টভাবে বলেছে।
মুকুল পন্থীদের একাংশ মনে করছেন বিজেপি তাঁদের নেতাদের যতটা ব্যবহার করার করে নিয়েছে, আর তারা মুকুল রায়কে নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না। অন্যদিকে বিজেপির অন্দরে এই সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে , মমতা এবং মুকুলের গট আপ ম্যাচ নয় তো? সেক্ষেত্রে মুকুলকে দলে নেওয়া মানে খাল কেটে কুমীর আনা।
তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ মনে করছে এ তত্ত্বের কোনও যৌক্তিকতা নেই। ফলে মুকুলকে দলে নিয়ে আখেরে লাভ বিজেপিরই হবে। সংগঠন শক্ত হবে। এই বিষয়ে ফয়সলাও হয়তো এদিনের বৈঠকেই হতে পারে।