তৃণমূলের পাশা কি উল্টোবে বাংলায়! বিজেপির ‘হাল’ দেখে নতুন ঘূঁটি খুঁজছেন শাহ
সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় বাংলার ভোটচিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভোট হলে কোন দল জিতবে, কোন কতগুলি আসন পেতে পারে, সেই সংক্রান্ত বাংলার একটা ছবি উঠে আসে ২০২১ নির্বাচনের আগে। তারপর অমিত শাহের টিম যে রিপোর্ট দেয়, তারপর চিন্তিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই কারণেই বাংলা দখলে নতুন পরিকল্পনা করছেন মোদী-শাহরা।

বাংলা দখলই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য
২০১৯ যুদ্ধ জয়ের পর নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ- উভয়েই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলা দখলই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে তাঁরা জাল বিছোচ্ছেন গত এক বছর ধরে। বাংলার উপর কেন্দ্রীয় টিমের নজর রয়েছে সর্বদা। তারপর অমিত শাহের নিজস্ব টিমও কাজ করছে বাংলায়। সাকুল্যে বাংলায় বিজেপির কোনও সুখবর তাঁরা দিতে পারেননি।

বিজেপির পক্ষে আশাব্যাঞ্জক নয় রিপোর্ট
বাংলার একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে আসায় বিজেপি নড়েচড়ে বসে। অমিত শাহের কানেও যায় বাংলার ভোট নিয়ে ওই সমীক্ষার ফল তৃণমূলের দিকে। এরপর অমিত শাহ নিজে রিপোর্ট নিতে শুরু করেন। তাঁর নিজস্ব যে টিমগুলি কাজ করছে, তাদের রিপোর্টও বিজেপির পক্ষে আশাব্যাঞ্জক নয়।

এবিপি-সিএনএক্সের রিপোর্টে বিজেপি
এবিপি-সিএনএক্সের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে বাংলার দখল তৃণমূলের হাতেই থাকবে। তবে তৃণমূলের প্রভাব-প্রতিপত্তি আগের থেকে অনেক কম হবে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল সর্বোচ্চ ১৬৫টি আসন পেতে পারে। আর বিজেপি পেতে পারে সর্বোচ্চ ১০৫টি আসন। যেখানে ম্যাজিক ফিগার হল ১৪৮, সেখানে ১০৫ অনেকটাই কম

অমিতের টিম কী বলছে
আর অমিত শাহের নিজস্ব টিম যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেখানেও তেমন হেরফের নেই। বরং বিজেপির অন্দরের রিপোর্ট আরও খারাপ। তৃণমূল আরও বেশি আসন পেতে পারে বেসরকারি ওই সংস্থার সমীক্ষার থেকে। বিজেপি ১০০ টপকাবে না বলেই ধারণা অমিত শাহের টিমের।

লোকসভার তুলনায় বিজেপি ও তৃণমূল
তাই চিন্তায় পড়েছেন অমিত শাহ। কেন গেরুয়া শিবির থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন, তা জানতে চাইছেন তিনি। বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টে লোকসভার তুলনায় বিজেপির ভোট শতাংশও কমে যাচ্ছে প্রায় ৮ শতাংশ। তৃণমূলেরও কমে যাচ্ছে ভোট শতাংশ, তবে তিন শতাংশের ব্যবধান বেড়ে হচ্ছে ৬ শতাংশ। এটা যথেষ্ট চিন্তার।

অমিত শাহের নয়া পরিকল্পনা
এখনও ১০ মাস সময় আছে ২০২১-এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের। এই সময়ে তিনি চাইছেন ঘাটতি পূরণ করে ফের বিজেপিকে প্রবল শক্তধর করে তুলতে। সে জন্য। সংগঠন বাড়াতে হবে। বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে তাই প্রয়োজনী বার্তা দেবেন তিনি। বিশেষ করে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়কে তিনি বিশেষ দায়িত্ব দিতে চাইছেন এই ঘাটতি পূরণের জন্য।

দিলীপ ঘোষ বাচ্চা, চুনোপুটি, হবে ১-এর বদলা ১০! সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়