একুশের ভোট নিয়ে ওভার এক্সাইটেড অমিত, প্রতিমাসে রাজ্য সফরে নাড্ডা-শাহ, দিল্লির নজরে দিলীপরা
একুশের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ফেলেেছন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। এই চাণক্যের চন্দ্রগুপ্ত কে হবে তা এখনও গোপন। তবে মমতা সরকারের পতনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন অমিত শাহরা। বঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের রাশ তাই নিজের হাতে রেখেছেন। ভোটের কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব নিতে প্রতি মাসেই বঙ্গে সফরে আসবেন অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। প্রতিমাসেই ২ দিন করে রাজ্যে থাকবেন অমিত। আর নাড্ডা থাকবেন মাসে ৩ দিন করে।

পাখির চোখ একুশ
অর্জুণ যেভাবে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন, অমিত শাহও সেরকমই একুশের বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করেছেন। করোনা কাটিয়ে উঠেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বাংলার ভোট নিয়ে। রাজ্যে প্রথম সফরে এসেই দলীয় নেতা কর্মীদের ভোকাল টনিক দিয়েছেন তিনি। ২০০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সেই টার্গেট পূরণে নাওয়া খাওয়া বাড়ি ঘর ভুলে দলের কাজে মগ্ন হয়ে যাওয়ার বার্তা দিেয়ছেন অমিত। একই সঙ্গে দলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে কঠিন রাজনৈতিক অনুশাসনের মধ্যে চলার কথা বলেছেন তিনি।

বাংলায় অমিতের পঞ্চপাণ্ডব
বাংলায় অমিতের পঞ্চপান্ডব হয়ে এসেছেন িদল্লির পাঁচ নেতা। গোটা রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এবং সেই পাঁচটি জোনের দায়িত্ব বেঁধে দেওয়া হয়েছে দিল্লির পাঁচ নেতার হাতে। মুকুল, দিলীপ, রাহুলদের এক প্রকার নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন অমিত। ভোটের রাশ নিজের হাতে নিয়ে অমিত মালব্যকে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন তিনি। আজ থেকেই জেলায় জেলায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।

ফের রাজ্য সফরে অমিত
পঞ্চপান্ডপের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ফের রাজ্য সফরে আসছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর ৩০ নভেম্বর রাজ্যে আসছেন তিনি। গত ৫ নভেম্বর ২দিনের সফরে এসেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে এবার থেকে প্রতিমাসেই রাজ্যে সফরে আসবেন অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মাসে ২দিন রাজ্যে থাকবেন অমিত শাহ আর ৩দিন রাজ্যে থাকবেন জেপি নাড্ডা।

নিষ্ক্রিয় দিলীপ, মুকুলরা
দিলীপ ভার্সেস মুকুল। বঙ্গ বিজেপি কার্যত দুটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বূ মুকুলের ক্ষমতা বাড়ানোয় এক প্রকার রুষ্ট হয়েই নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে সামিল হননি তিনি। নিজেকে ঘরবন্দি রেখেছিলেন রাহুল। তাঁর দল বদলের জল্পনাও পারদ চড়েছিল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মতো! অভিষেক-প্রীতিই ডোবাবে তৃণমূলকে