তৃণমূলকে জব্দ করতে ধীরে হলেও অবিচল শাহ, ২০২৪-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বিজেপি
তৃণমূলকে জব্দ করতে ধীরে হলেও অবিচল শাহ, ২০২৪-এর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বিজেপি
২০০-র বেশি পাওয়ার ডাক দিয়ে ৭৭-এর বেশি যেতে পারেনি বিজেপি (bjp)। যদিওবা সেই আসন সংখ্যা এখন ৭০-এর আশপাশে। তবে রাজ্য নিয়ে আশা ছাড়েননি বিজেপি কিংবা অমিত শাহ (Amit Shah)। কেননা ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
বর্তমানে বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। মে মাসে রাজ্যে বিধানসভার ফল বেরোনর পরে তাদের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক ভয়ে বাড়ি ছাড়া বলে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। কেউ দিল্লি, কেউ বা পড়শি রাজ্য অসমে গিয়েও আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিজেপির তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল তাঁদের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। মহিলা সমর্থনকদের শ্লীলতাহানি এমন কী ধর্ষণের শিকারও হতে হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব অভিযোগ মানতে চাননি।
চলছে তদন্ত
এরপর আদালতে করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল। তারা হাইকোর্টে রিপোর্ট দাখিল করে। এরপরেই হাইকোর্টের তরফে খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সিবিআই বহু মামলায় এফআইআর করে চার্জশিট দাখিল করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। যাঁদের বেশিরভাগই তৃণমূল সমর্থক কিংবা কর্মী বলেই পরিচিত। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে অন্যদিকে রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, সর্বোচ্চ আদালত তাতে স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি।
অস্বস্তিতে তৃণমূল
বর্তমান
পরিস্থিতিতে
একদিকে
যেমন
তৃণমূল
অস্বস্তিতে
রয়েছে,
অন্যদিকে
বিজেপি
যেন
খানিক
সুবিধাজনক
অবস্থায়।
সিবিআই
একদিকে
যেমন
ভোট
পরবর্তী
হিংসা
নিয়ে
তদন্ত
করছে,
অন্যদিকে
তৃণমূল
হেভিওয়েটদের
বিরুদ্ধে
সারদা,
নারদা,
কয়লা
ও
গরু
পাচার
নিয়ে
তদন্ত
করছে
দুই
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী
সংস্থা
ইডি
ও
সিবিআই।
এই
দুই
সংস্থাই
রয়েছে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
অধীনে।
যার
মন্ত্রী
অমিত
শাহ।
তবে
চিটফান্ডের
জালিয়াতির
শিকার
যাঁরা,
তাঁদের
এখনও
কোনও
সুরাহা
হয়নি।
পাশাপাশি
চিটফান্ড
মামলাগুলির
কখনও
ধীরগতি
কিংবা
কখনও
দ্রুতগতি
নিয়ে
অনেকেই
প্রশ্ন
তুলেছেন,
এইসব
করা
হচ্ছে
রাজনৈতিক
উদ্দেশ্য
নিয়ে।
এর
পিছনে
মোদী-শাহ
রয়েছেন
বলেও
অভিযোগ
বাম-সহ
অন্য
রাজনৈতিকদলগুলির।
প্রভাবশালী
তৃণমূল
নেতাদের
বেশিরভাগই
কোনও
না
কোনও
মামলায়
অভিযুক্ত
হয়ে
রয়েছেন।
ফলে
তৃণমূল
শীর্ষ
নেতৃত্বকে
নিশানা
করতে
যে
কোনও
ছাড়
মিলবে
না,
তা
ধরেই
নেওয়া
যায়।
নিশানায় অভিষেক, পার্থ, মানস-সহ অনেকেই
সাম্প্রতিক সময়ে কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অন্যদিকে আইকোর মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানস ভুঁইঞার অফিসে গিয়ে জেরা করেছে সিবিআই। অন্যদিকে সরকারের মুসলিম মুখ বলে পরিচিত ফিরহাদ হাকিম এবং বর্যীয়ান সুব্রত মুখোপাধ্যায় নারদ মামলায় জামিনে রয়েছেন।
নিচুতলায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় তৃণমূল
তবে কেন্দ্রীয় সংস্থা দুভাবে তৃণমূলের ওপরে চাপ তৈরি করছে। একদিকে শীর্ষ নেতৃত্বকে বিভিন্ন মামলায় সমন পাঠাচ্ছে, অন্যদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় একেবারে নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের জেরা করছে কিংবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। এই নিচুতলার সমর্থক এবং কর্মীরাই বামশাসনে ছিল স্তম্ভ। আবার তৃণমূল শাসনেও তাই। ফলে এঁদের মধ্যে থেকে যদি কেউ জেলে যায়, তাহলে তা তৃণমূলের নিচুতলার সংগঠনে প্রভাব পড়তে বাধ্য।
সক্রিয় শুভেন্দু অধিকারী
ভোট
পরবর্তী
হিংসার
অভিযোগ
নিয়ে
সক্রিয়
শুভেন্দু
অধিকারী।
তিনিই
ভোট
পরবর্তী
হিংসার
ঘটনাকে
সাম্প্রদায়িক
রূপ
দিয়েছেন।
অভিযোগ
করেছেন
ভোট
পরবর্তী
হিংসার
ঘটনায়
আঘাত
করা
হয়েছে
সনাতন
ধর্মের
ওপরে।
আর
তিনিই
ভোট
পরবর্তী
সময়ে
গত
কয়েকমাসে
একাধিকবার
দিল্লিতে
গিয়ে
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
সঙ্গে
দেখা
করেছেন।
অন্যদিকে
বিজেপির
তরফে
এমন
প্রচার
যাতে
কোনও
প্রভাব
ফেলতে
না
পারে,
তার
জন্য
সক্রিয়
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কেননা
তিনি
ভবানীপুরে
প্রচারে
গিয়ে
ইতিমধ্যেই
বলেছেন,
কোনওভাবেই
তিনি
দেশে
পাকিস্তান
তৈরি
হতে
দেবেন
না।
তৃণমূল মুসলিম ভোট নির্ভর
উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির মতোই এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুবিধা হল, তৃণমূলের মুসলিম ভোট নির্ভর হয়ে ওঠা। এই রাজ্যে মুসলিম ভোটের পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশের মতো। সেই ভোট একটু ঘুরলেই টলমলো পরিস্থিতি হবে তৃণমূলের, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।